Recruitment Scam In West Bengal : পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে শান্তিপুর, আধিকারিকদের তলব CBI-এর – cbi summoned santipur municipality officials for municipality recruitment scam west bengal


এবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠালো সিবিআই। আজ তাঁদের নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে। এদিন নদীয়া জেলার শান্তিপুর পুরসভার বেশকয়েকজন আধিকারিককে নিজাম প্যালসে ডাকা হয়। ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই তথ্যকে সামনে রেখে গত জুন মাসে শান্তিপুর পুরসভায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেন বলে জানা যায়।

এরপর গতকাল সিবিআই দফতর থেকে পুরসভায় ফোন করে আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, সিবিআই যখন তদন্ত শুরু করে তখন সমস্ত নথি দিয়েছিল পুরসভা। তদন্তর স্বার্থে আরও যা নথি কিংবা প্রশ্ন উঠে আসে সবেতেই সহযোগিতা করবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিকে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলারএজলাস বদল হয়। এরপর বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখে।

যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। পাশাপাশ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেও যায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের সেই ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এরপর শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। হাইকোর্টে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, পুরসভার মামলার শুনানির এক্তিয়ার নেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুরসভা এবং শিক্ষা দফতরে একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২টি দুর্নীতিই অবিচ্ছেদ্য ভাবে যুক্ত, যুক্তও রয়েছেন একই ব্যক্তিরা। এই ধরণের দুর্নীতির জন্য মোহভঙ্গ হয়েছে তরুণ প্রজন্মের। তাই সিবিআই ছাড়া অন্য কোনও তদন্ত নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *