মঙ্গলবার সকালে রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাহরপোতা ১২ নম্বর বুথের বিজয়ী BJP প্রার্থী রুমা মণ্ডলের পর সন্ধ্যায় রেখা ঢালী নামে স্বরূপনগর ব্লকের বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে রেখা দেবী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। মানুষ তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের বাইরে কিছুতে যেতে চাইছে না। এই পঞ্চায়েতে ৩০টার মধ্যে ২৪টা তৃণমূল জিতেছে। দুজন বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। তারা কাজ করতে গিয়ে বিবেকের দংশনে ভুগছেন। অনেকদিন ধরেই যোগদান করতে চাইছিলেন। অবশেষে আজ সেটাই হল। এরপর বিজেপি দলটারই কোন অস্তিত্ব থাকবে না।’ এখানেই শেষ নয়, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস দাবি করেন, এতো সবে শুরু। লাইনে আরও অনেকে আছে, যারা দল ছেড়ে শাসক দলে যোগদান করতে চাইছে।
যোগদান শেষে রেখা দেবী বলেন, ‘গ্রামের উন্নয়ন করতে মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করলাম । আমার গ্রামের উন্নয়ন হয়নি। শাসকদলে যোগ দিয়ে সেই কাজ এবার আমি করতে পারব।’
প্রসঙ্গত, স্বরূপনগর ব্লকের বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩০ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এবার ২৪টি আসন পেয়েছে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে দুটি, সিপিএম পেয়েছে একটি এবং নির্দলরা জিতেছেন তিনটি আসনে। ফের জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে এই যোগদান প্রসঙ্গে বনগাঁ উত্তর পৌর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব রায় বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস করে তৃণমূল বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের যোগদান করাচ্ছে।’
মঙ্গলবার সকালেই রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়ী BJP প্রার্থী রুমা মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর হতে জোড়াফুলের পতাকা তুলে দেন বিশ্বজিৎ দাস। সেই যোগদানের পরই অভিযোগ ওঠে ভয় দেখিয়ে জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। যদিও প্রার্থী রুমা মণ্ডল দাবি করেন, তিনি নিজের ইচ্ছেতেই দল বদল করেছেন। পঞ্চায়েতে তৃণমূলে টিকিট না পেয়েই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাই ভয় দেখিয়ে যোগদান করানোর কোনও ব্যাপার নেই।