বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থাগুলিতে শিক্ষাবিদদের রেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করাই দস্তুর। দিন কয়েক আগেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিতে আচার্যের প্রতিনিধি ছিলেন যথাক্রমে আইআইটি-র প্রাক্তন অধ্যাপক এবং আইআইসিবি-র এমিরিটাস বিজ্ঞানী। এ বার যাদবপুরে এক আইনজীবীকে পাঠানোয় সরব হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।
ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডিন নিয়োগের কমিটি-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা স্তরেই আচার্যের প্রতিনিধি নেই। অথচ ইসি-তে শিক্ষা জগতের বাইরে নিজের পছন্দে একজনকে নিয়োগ করলেন তিনি!’ সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্করের কথায়, ‘একজন আইনজীবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্য মনোনীত করে দীর্ঘদিনের চালু প্রথা ভেঙে খানখান করেছেন আচার্য। চরম স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। আচার্য নিজেই যদি এমন কাজ করতে থাকেন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হবে।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে তৎকালীন রাজ্যপাল-আচার্য বীরেন জে শাহ রাজ্যের এক শিল্পপতিকে যাদবপুরের ইসি-তে প্রতিনিধি করেছিলেন। এই বডিতে কে আচার্যের প্রতিনিধি হবেন, সে সম্পর্কে বাঁধাধরা নিয়ম নেই ঠিকই। শিক্ষাজগৎ বা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত কেউ হলে সুবিধা হয়। অন্য ক্ষেত্র থেকে এলে একটু সমস্যা হতে পারে।’
যদিও যাঁকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত, সেই সুস্মিতা সাহা দত্তের কথায়, ‘এই নিয়োগে কোনও অনিয়ম নেই। ইসি-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে শিক্ষকদের তুলনায় কোনও আইনজীবী প্রশাসক হিসেবে ভালো কাজই করবেন।’