এই বিষয়ে কাউন্সিলর বলেন, ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় আমরা সতর্ক। প্রতিদিন পুরসভার ওয়ার্ড কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছেন’। ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘পুর এলাকায় অল্প কিছু সময় মানুষের ডেঙ্গির প্রভাব দেখা গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত এই বছর বেশ কিছুটা কম রয়েছে ডেঙ্গির প্রভাব। ২০২২ সালে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় কিছু মৃত্যু হয়েছি ডেঙ্গিতে। এবার কোনও মৃত্যু হয়নি। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কম’। শুধু ডেঙ্গিই নয়, সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। সেই নিয়েও সচেতন রয়েছে ভাটপাড়া পুরসভা। বিভিন্ন জায়গায় যেখানে বড় পরিসরে বৃষ্টির জল জমে বা জমার সম্ভাবনা থাকে, সেই সব জায়গায় ঠিকমতো নজরদারি না হওয়ার ফলেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে অভিযোগ।
পুরসভা সূত্রে খবর, ম্যালেরিয়ার মশা মূলত রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কামড়ায়। কিন্তু মশারি টাঙানোর প্রবণতা কম থাকায় সমস্যা বাড়ছে। এই বছর ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। তবে জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তথ্য গোপন না করে, আসল তথ্য সামনে এলে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে স্পেশ্যাল ইউনিট। কোথাও কোথাও মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি।
জুলাই শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার অতিক্রম করেছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামবাংলাতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই চোখ রাঙায় ডেঙ্গি। ঋতু পরিবর্তনের কারণে যেহেতু এখন ভাইরাল জ্বরও হচ্ছে, তাই ডেঙ্গি জ্বর নিয়ে সাবধান থাকা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।