গত ১৫ জুন ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। এরপর থেকে ট্রলারে নিয়ে ইলিশ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীরা। এরই মধ্যে মৎস্যজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যে তাঁরা বড় ইলিশের সঙ্গে বেআইনিভাবে খোকা ইলিশও ধরে আনছেন।
যদিও নিষিদ্ধ এই খোকা ইলিশ ধরা। তারপরেও জায়গায় জায়গায় ধরা হচ্ছে ছোট মাপের ইলিশ। মৎস দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে খোকা ইলিশ ধরা আনা হচ্ছে খবর পেয়ে বন্দর ও সমুদ্রে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রলারে চলছে চেকিং। এইভাবে তল্লাশি চলার সময় পুলিশ একটি ট্রলার থেকে এক টন খোকা ইলিশ উদ্ধার করে বুধবার।
পুলিশ তল্লাশি শুরু করার আগেই ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা মাছ রেখে পালিয়ে যায় বলে খবর। যদিও মৎস্যজীবীদের একাংশের বক্তব্য, খোকা ইলিশ ধরলে ক্ষতি মুখ দেখতে হবে তাঁদেরই। বড় ইলিশেই তাঁদের বেশি লাভ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এক শ্রেনীর মৎস্যজীবীরা এই খোকা ইলিশ ধরছেন কিসের স্বার্থে?

বড় ইলিশের আকালের মাঝে নামখানায় এক ট্রলার ভর্তি খোকা ইলিশ উদ্ধার করল পুলিশ। ট্রলার ছেড়ে পালালেন মৎস্যজীবীরা।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মৎস দফতরও। মৎস্য ব্যবসায়ীদের একাংশের আশঙ্কা, এইভাবে খোকা ইলিশ তুলে নেওয়া হলে পরে আর বড় ইলিশ পাওয়া যাবে না। মাছ বড় না হলে দামও পাওয়া যাবে না। তখন ক্ষতির মুখ দেখতে হবে ব্যবসায়ীদের।
খোকা ইলিশের গড় ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম। আর নিয়ম হল, কমপক্ষে ৫০০ গ্রামের নিচে ইলিশ মাছ ধরা যায় না। বিষয়টির উপর এবার কড়া নজর দিতে শুরু করেছে মৎস দফতর।