উত্তর হাওড়ার বঙ্গেশ্বর মহাদেব মন্দির প্রাঙ্গণে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। যদিও মন্দিরটি খুবই পুরনো। এই মন্দির চত্বরেই ২০১৫ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ৫১ ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল ভগবান ভোলেনাথের ৫১ ফুট উঁচু মূর্তি এবং একসঙ্গে একই মন্দির প্রাঙ্গণে বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গেরই দর্শন পাওয়া যায়।
শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই, ভক্তদের ঢল নেমেছে এই মন্দিরে। সোমবারে তো অবশ্যই, এছাড়াও প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসছেন কাতারে কাতারে ভক্ত। তাঁরা জল ঢালছেন বাবার মাথায়। চলছে বিশেষ পুজোপাঠ। ভগবান মহাদেবকে মনের প্রার্থনা জানাচ্ছেন ভক্তর। প্রত্যকের একটাই আশা, জলাভিষেকের মাধ্যমে বাবা মহাদেবকে তুষ্ট করা ও তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া।
প্রসঙ্গত দেশে যে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে সেগুলি হল ১. রামেশ্বরম, তামিলনাড়ুতে অবস্থিত, ২. ওমকারেশ্বর, মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত, ৩. সোমনাথ, গুজরাতে অবস্থিত, ৪. মল্লিকার্জুন, অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত, ৫. মহাকালেশ্বর, উজ্জইন মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত, ৬. কেদারনাথ, উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত, ৭. ভীমাশঙ্কর, মহারাষ্ট্রে অবস্থিত, ৮, বিশ্বেশ্বর কাশী বিশ্বনাথ, বেনারসে অবস্থিত, ৯. ত্র্যম্বকেশ্বর, মহারাষ্ট্রে অবস্থিত, ১০. বৈদ্যনাথ ধাম, দেওঘর ঝাড়খণ্ড, ১১. নাগেশ্বর, গুজরাতে অবস্থিত এবং ১২. ঘূষমেশ্বর মহারাষ্ট্রে অবস্থিত।
এদিকে রাজ্যের অন্যান্য যে সমস্ত শৈবক্ষেত্রগুলি রয়েছে। সেখানেও ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। তারকেশ্বর, জল্পেশ, ঘণ্টেশ্বরের মনতো মন্দিরগুলিতে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে প্রতিদিনিই পড়ছে বিরাট লাইন। কেউ যাচ্ছেন বাবার কাছে মনের প্রার্থনা জানাতে, কেউ আবার মনোবসান পূর্ণ হওয়ায় যাচ্ছেন মানসিক পালন করতে। সব মিলিয়ে গোটা শ্রাবণজুড়ে একই ছবি সমস্ত শিব মন্দিরে।