চলতি বছর বিস্তর দেরিতে প্রবেশ করেছে বর্ষা। স্বাভাবিকভাবেই জুন মাসে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হতে পারে, মনে করা হচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু, শুধু জুন নয়, জুলাই মাসেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে বিস্তর। এরই মধ্যে নিম্নচাপের সম্ভাবনায় আশার আলো দেখছেন সাধারণ মানুষ।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
সামান্য বাড়তে পারে কলকাতার তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্র ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ। কলকাতার আকাশ দিনভর মেঘলা থাকবে। এছাড়াও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
পশ্চিম মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওডিশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ সংলগ্ন উপকূলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। একইসঙ্গে কচ্ছতে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত।
যদিও নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তাপমাত্রার নিম্নমুখী গ্রাফ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। কিন্তু, অস্বস্তি বাড়াবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। যদিও সপ্তাহের শেষ দিকে অর্থাৎ শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যখন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই সেই সময় উত্তরবঙ্গের কিছু জেলাতে হতে পারে ভারী বৃষ্টি, অন্তত এমনটাই জানান দিচ্ছে পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত।
অন্যান্য জেলাগুলিতে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন দুই বঙ্গে সেভাবে তাপমাত্রা বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ওডিশায় বৃহস্পতিবারও হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত, পূর্বাভাস রয়েছে এমনটাই।