যদিও পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে। পরিসংখ্যান বলছে নিজের সাংসদ তহবিলের টাকায় বেশকিছু প্রকল্পেই হাত দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নিজের সংসদীয় এলাকায় মহুয়া মৈত্রের হাতে নেওয়া কিছু প্রকল্প।
১. কৃষ্ণননগর দক্ষিণ বিধানসভার ন’পাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিমেন্টের ঢালাই রাস্তা। এই প্রকল্পে আনুমানিক খরচ ৩০০২১০৪ টাকা।
২. কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার ঘূর্ণি হাইস্কুলের মুক্তমঞ্চ তৈরি, যার আনুমানিক খরচ ৪০০০০০ টাকা।
৩. কালীগঞ্জের পলাশিতে মীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কারর ও উন্নয়ন। প্রকল্পে খরচ ৩৯১৭০৬১ টাকা।
৪. নাকাশিপাড়া বিধানসভার প্রীতিময় গ্রামীণ হাসপাতালে ডক্টর্স কোয়ার্টারের দ্বিতল নির্মাণ, আনুমানিক খরচ ২৭০০০০০ টাকা।
৫. বেথুয়াডহরি হাসপাতালের ওপিডি বিল্ডিং ও রোগী প্রতিক্ষালয় নির্মাণ, যার খরচ ৩৬২১০৫৪ টাকা।
৬. তেহট্ট বিধানসভার পাথরঘাটা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৮০০০০০ টাকার পিচের রাস্তা তৈরি।
৭. তেহট্ট বিধানসভার তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে সিমেন্টের রাস্তা নির্মাণ, যার খরচ ৬০০০০০ টাকা।
৮. তেহট্টের নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০৮৩৪১৯ টাকা ব্যয়ে রাস্তা তৈরি।
৯. তেহট্টর বেতাইতে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে এলইডি স্কিন ইনস্টলেশন, যার আনুমানিক খরচ ৩০০০০০ টাকা।
১০. চাপড়া বিধানসভার চাপড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৫০০০০০ টাকা ব্যয়ে পিচের রাস্তা নির্মাণ।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি নদিয়াতেও ভালই ফল করেছে তৃণমূল। এমনকী গত পৌর নির্বাচনে রাজ্যের একমাত্র তেহট্ট জয় এসেছিল বামেদের, কিন্তু সেখানেও এবার ফুটেছে ঘাসফুল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ফলের নেপথ্য রয়েছে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলির সুফলই ভোটবাক্সে পেয়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে এখন দেখার আগামী বছরে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় নেওয়া প্রকল্পগুলির কতোটা সুফল পান মহুয়া মৈত্র।