মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগের কড়া জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ওনার একটা ভাঙা রেকর্ড আছে, শুভেন্দু গণনায় কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে. হ্যাঁ জিতেছে, জিতেছে বলেই আপনি কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। জিতেছে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কলার ধরে পদত্যাগ করিয়ে ভবানীপুরে ছাপ্পা মেরে জিততে হয়েছে আপনাকে। আপনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন ২ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। একই বিল্ডিংয়ে ৩টি বিধানসভার গণনা। মহিষাদল, হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম। হলদিয়া থকে বিজেপি প্রার্থী জিতল ১৫ হাজারের বেশি ভোট। মহিষাদলে ওই একই বিল্ডিংয়ে তৃণমূল প্রার্থী জিতল ২১০০ ভোটে। ওই একই ভোটে আপনি হারলেন ১৯৫৬ ভোটে।’
পাশাপাশি নন্দীগ্রাম ভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে করা মামলা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আপনি একটা কেস করেছেন। মাননীয় বিচারপিত কৌশিক চন্দ, তাঁকে বদলালেন। আপনি মামলা করলেন, ২ বছরের বেশি সময় চলে গেল। মামলা আপনি করেছেন, আমি করিনি।’
একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘উনি রিকাউন্টিং করুন না! ১৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১টা পেয়েছি, ২টো পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছি। ২১ সালে পূর্ব মেদিনীপুর আপনাকে হারিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করতে বলব আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত। কাঁথি ও তমলুকে লোকসভা আসনে কতভোট হারবেন উনি নিজেও জানেন না।’ মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আপনি উদভ্রান্ত, বিচলিত, সরকার চালাতে পারছেন না।’ প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনার দিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী কারচুপি করে ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে বারবারেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তার প্রেক্ষিতে মামলাও করা হয়। যদিও সেই অভিযোগ বারেবারেই অস্বীকার করেছে বিজেপি।