এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনে দেখা গেল ব্যতিক্রমী ছবি। বর্ষীয়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিতে আড়াই মিনিটের মতো ভাষণ দিতে উঠলে কোনও শব্দ করেনি বিরোধী শিবির। গড়করির বক্তব্য শেষ হতেই বিরোধী বেঞ্চে বসে থাকা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক সাংসদদের একজন চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘আপনি এভাবেই চালিয়ে যান৷ আগামী লোকসভা ভোটে এনডিএ-র মোট আসন ২২০-র তলায় পৌঁছলে আপনাকে আমাদের প্রয়োজন হবে৷’
কেন গড়করিকে তাঁদের প্রয়োজন হবে, তার ব্যাখ্যা দেননি রাজ্যসভার ওই সাংসদ। তবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের থেকে গড়করির মতো একজন সিনিয়র মন্ত্রীকে ‘আলাদা’ করে দেখানো যে বিরোধীদের রণকৌশলের অন্যতম অঙ্গ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যখন ওই বিরোধী সাংসদ এ কথা বলছেন, তখন ট্রেজারি বেঞ্চে বসে শাহ, নির্মলা সীতারমণ, পীযুষ গোয়েল, সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর-সহ কেন্দ্রের শীর্ষ মন্ত্রীরা৷ তাঁরা টুঁ শব্দটিও করেননি, কথা বাড়াননি গড়করিও৷ কয়েক মুহূর্তের জন্য পুরো নিস্তব্ধ হয়ে যায় সভাকক্ষ৷
টিম ইন্ডিয়া ২০১১-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পরে মুম্বইয়ে আরব সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে তৎকালীন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন, তাঁদের সাফল্যের মূল অস্ত্র ছিল ‘হোমওয়ার্ক’ যেখানে বিপক্ষের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সঠিক জায়গায় আঘাত হানার কৌশল ছকে নেওয়া হতো। বিজেপি তথা এনডিএ শিবিরকে কোণঠাসা করতে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটও শাসক পক্ষের দুর্বলতাগুলি খুঁজে বের করছে বলে এদিন দাবি করেন এক বিরোধী নেতা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত, বিজেপির অন্দরে ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে পরিচিত গড়করিকে রাজনৈতিক ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ার মধ্যে সেই কৌশলই রয়েছে।