Sayantika Banerjee News : ‘নিন্দুকদের বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়…’, ‘মহানায়ক’ পুরস্কার বিতর্কে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা – sayantika banerjee actress and trinamool leader exclusive interview on mahanayak prize controversy


অরিজিৎ দে | এই সময় ডিজিটাল এক্সক্লিউসিভ

সোমবার মহানায়ক সম্মান পেয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে সায়ন্তিকার নাম। তিনি রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদিকাও বটে। ‘মহানায়ক’ পুরস্কার পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হয়েছেন এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। বিতর্কের মধ্যে অবশেষে এই সময় ডিজিটালের কাছে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা।

‘মহানায়ক’ পুরস্কার বিতর্ক

সায়ন্তিকার হাতে ‘মহানায়ক’ পুরস্কার দেখে অনেকেই তাঁর ‘যোগত্যা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুরস্কার বিতর্ক নিয়ে এই সময় ডিজিটালকে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি আমার নিন্দুকদের ভীষণ ভালোবাসি। ফ্যানদের থেকেও নিন্দুকরা আমার বেশি পছন্দের। ক্রিটিকসরাই আমাদের দোষ বা ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন। ফ্যানরা তো সবসময় ভালো বলবেনই। কিন্তু ভুলটা শুধুমাত্র নিন্দুকদেরই চোখে পড়ে। অভিনেতাদের কোনও ‘পার্সোনাল লাইফ’ নেই বলেই আমি মনে করি। মানুষের প্রতি আমাদের দায়বন্ধতা রয়েছে। সেখানে কোনও ত্রুটি নিয়ে আলোচনা কখনই ভুল নয়।’

West Bengal Tourism : নন্দিনীর অপসারণ! পর্যটন নিগমে এলেন ইন্দ্রনীল-সায়ন্তিকা
অভিনেত্রী বলেন, ‘কোনও কিছু কারও ভালো নাই লাগতে পারে। সবই যে ভালো লাগবে এমন তো কোনও কথা নেই। ব্যক্তি বিশষে চিন্তধারা আলাদা হতেই পারে, এটা কোনও ভুল নয়। কোনও নিন্দাকে একেবারেই খারাপ ভাবে নিই না। ১২ বছর ধরে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। অনেকেই কাজ করতে এসেছেন, আবার হারিয়ে গিয়েছেন। ক’টা ছবি করলাম সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেক ছবি দেখে মনে হয়, যে এই চরিত্রটা আমি হয়তো অনেক ভালো করতে পারতাম। অনেকে এল, অনেক গেল। কিন্তু আমি ডাইনোসর যুগ থেকে কাজ শুরু করে এখনও টিকে রয়েছি (মুখে হাসি)। তবে এখনও আমার ‘ড্রিম রোল’ পাইনি। হতেই পারে দু’বছর পর এমন ছবি করলাম যেটা আমাকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিল। তবে হ্যাঁ নিন্দুকদের আমি জড়িয়ে ধরতে চাই।’

Mahanayak Uttam Kumar: সায়ন্তিকা-অঙ্কুশ-শ্রাবন্তী সম্মানিত মহানায়ক পুরস্কারে, তালিকায় আরও বড় চমক!
ভোটে হেরেও বাঁকুড়াকে নিয়ে ‘সেলফিশ’

রাজনীতির তারকা মুখদের ‘মানুষের পাশে’ দেখা যায় না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ব্যতিক্রম নন নির্বাচিত বিধায়ক বা সাংসদরাও। সেখানে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হেরেও বাঁকুড়াকে ভোলেননি সায়ন্তিকা। কোথা থেকে আসে এই এনার্জি? অভিনেত্রীর জবাব, ‘আমি যে বাঁকুড়ার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি, এটা যে আপনারা জানেন সেটা শুনে ভালো লাগছে। তবে কাজ হোক বা রাজনীতি, সবক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি আমি রক্ষা করার চেষ্টা করি। বাঁকুড়ায় হেরে যাওয়াটা এখনও মেনে নিতে পারিনি। জিতলে হয়তো মানুষের জন্য আরও কাজ করতে পারতাম।’

সায়ন্তিকা বলেন, ‘তবে মানুষের সঙ্গে মিশে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বাঁকুড়াকে নিয়ে আমি ভীষণ সেলফিশ। মানুষের কাজ করার একটা সুযোগ আমি পেয়েছি। তবে সব কাজ করে দিতে পেরেছি এটা বলব না। তবে চেষ্টা করি নিজের সবটা দিয়ে। যেটা পারব না, সরাসরি বলে দিই। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও লাভ নেই। বাঁকুড়া আমার হৃদয়ের খুব কাছের।’

Subhashree Ganguly: আর‌ও এক সুখবর, শুভশ্রীর ‘দ্বিতীয় সন্তানের’ জন্ম
মমতায় পূর্ণ আস্থা সায়ন্তিকার

সাংস্কৃতিক জগৎ থেকে রাজনীতিতে আসা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা সন্ত্রাসের অভিযোগে বিব্রত বোধ করেন? সায়ন্তিকা বলেন, ‘সন্ত্রাসে সবসময় দু’পক্ষ জড়িত থাকে, একহাতে তালি কখনও বাজে না। আমাদের পেশায় হয়তো সন্ত্রাস নেই, তবে প্রতিযোগিতা অবশ্যই রয়েছে। সোজা কথা মুখের উপর বলতে ভালোবাসি বলে অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই আমার দলে আসা। পয়সা দিয়ে শিল্পীদের কেনা যায় না। আমরা সম্মান আর ভালোবাসার কাঙাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সম্মান আর ভালোবাসা আমাদের দিয়েছেন, তা আগে কেউ দেয়নি। টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর হাল বদলে দিয়েছেন। আমি নিজে দলের বৈঠকে উপস্থিত থেকে দেখেছি, কোনও ভুল কাজ হলে দিদি সবার আগে প্রতিবাদ করেন। সেই কারণে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *