বঙ্গোপসাগরে ডুবল মৎস্যজীবী ট্রলার। পাশে থাকা মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় বাঁচল আটজন মৎস্যজীবীর প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ইলিশের সন্ধানে গঙ্গাসাগর থেকে মা শীতলা নামক ট্রলার সাগরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল। ওই ট্রলারে মোট আটজন মৎসজীবী ছিল বলে জানা গিয়েছে।
মা শীতলা নামে ওই মৎস্যজীবী ট্রলার আটজন মৎস্যজীবী নিয়ে ইলিশের সন্ধানে পাড়ি দেয় বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে। এরপর বিকেল নাগাদ ওই ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পাশে থাকা মৎস্যজীবীদের আরেকটি ট্রলার এসে ওই মৎস্যজীবীদেরকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
মৎস্যজীবীদের পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। ৮ জন মৎস্যজীবী সকলে সুস্থ রয়েছেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুরে। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকার কাছে। একটি ট্রলারের নিচের অংশ ফেটে জল ঢুকে ডুবে যায়। ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবে যায় মাখ সমুদ্রে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর ছিল না।
ট্রলার থেকে মোট ১৭ মৎসজীবীকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা 6টার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে । বাঘেরচরের বকখালি থেকে 40 কিমি দূরে একটি ট্রলার ডুবে যায়। গভীর সমুদ্রে অক্ষয় নগর কাকদ্বীপ এর এফবি অনিক ফিশিং ট্রলার তলা ফেটে ডুবে যায় বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন থেকে সমুদ্রে ট্রলার যাওয়ার অনুমতি দেয় মৎস্য দফতর। ইলিশের মরশুমে কয়েক হাজার ট্রলার পাড়ি দেয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দর থেকে। বাজারে এ বছর ভালো পরিমাণ ইলিশ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ট্রলারের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় মৎস্য দফতর এবং কোস্ট গার্ডের তরফে। মৎসজীবীদের সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার মধ্যেও ট্রলার ডুবির ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন।