স্থানীয় সূত্রে খবর, খালের ধারে একটু একটু করে সরে গিয়েছে মাটি। বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খড়পাড়া এলাকার বাসিন্দারা এখন ধসের আতঙ্কে ভুগছেন। বৈদ্যবাটি ডানকুনি খালের পাশেই রয়েছে কুঁড়ি থেকে ২৫ টি বাড়ি। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল।
স্থানীয়রা জানান, খাল সংস্কারের পরেই লক্ষ্য করা যায় এই ধস। দেওয়ালের গা থেকে মাটি সরে যেতেই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বাড়িগুলি। যে কোনও সময় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই অনেকে আতঙ্কে বাড়ি অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। বিষয়টি নজরে আসতেই আতঙ্কিত বাসিন্দারা পুরসভার দ্বারস্থ হন। ইতিমধ্যেই SDO দফতর থেকে এক্সিকিউটিভ অফিসাররা এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আখতারি বিবি জানান, ৫০-৬০ বছরের পুরন আমাদের বাড়ি। এত বছর ধরে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু খাল সংস্কারের পরেই হঠাৎ একদিন সকালে দেখি গাছ সরে গিয়েছে। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পড়ে বুঝতে পারি ধস নেমে গিয়েছে । বর্ষা আসতেই এই ধস নামতে শুরু করেছে। যেভাবে ধস নেমেছে তাতে বাড়িটি দেখলে মনে হবে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে । যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত জানিয়েছেন, বর্ষার সময় দেখা যাচ্ছে 14 নম্বর ওয়ার্ডের খালের পাড়ে যে সমস্ত বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলিতে ফাটল ধরেছে। যে কোনও সময় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যে DM, SDO, এক্সিকিউটিভ ইরিগেশন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইরিগেশন দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
এসডিও দফতর থেকে এক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ধসের ফলে বাড়ির যাতে ভেঙে না পড়ে যায়, তার জন্য ইরিগেশন দপ্তরকে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তা কাজ শুরু করা হবে। যেভাবে ধস দিয়েছে তাতে আশে পাশের বাড়ির বাসিন্দারাও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । প্রায় ১৬ থেকে ১৮ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।