Brahma 1 Mountain : অসুস্থ মাকে বাড়িতে রেখেই ব্রহ্ম জয়! চুঁচুড়ায় ফিরেও আক্ষেপ রয়ে গেল দেবাশিসের – chinsurah mountaineer debashis majumder returns home after reaching brahma 1 mountain peak


ব্রহ্মা ১ পর্বত জয় করে আগেই বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অবেশেষে বাড়ি ফিরলেন হুগলি চুঁচুড়ার বাসিন্দা দেবাশিস মজুমদার। হুগলির আরেক পর্বতারোহী পিয়ালী বসাকের মত পাহাড় তাঁকে টানে ছোটোবেলা থেকেই। তাই বারবার ছুটে যান পাহাড়ে। পিয়ালি যেমন অসুস্থ বাবাকে রেখে মাকালু অভিযানে গিয়েছিলেন, তেমনই শয্যাশায়ী অসুস্থ মাকে রেখে ব্রহ্ম ১ অভিযানে বেরিয়েছিলেন দেবাশিস।

Dev: ‘প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম কিন্তু বাবার চিকিৎসায় সাহায্য পাইনি’, দেবের উপর অভিমান হুগলির চন্দ্রিনীর
৪৪ বছর পর কাশ্মীরের বিপদজনক শৃঙ্গ ব্রহ্মা ১ এ পা রাখলেন কোনও ভারতীয় অভিযাত্রী দল। সোনারপুরের আরোহী অভিযাত্রী দলের ১২ জন সদস্যের মধ্যে ছিলেন চুঁচুড়ার দেবাশিস। প্রবল প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে ৬৪১৬ মিটার উচ্চতায় পৌঁছে যান পর্বতারোহীরা।ব্রহ্মা জিতে বৃহস্পতিবার সন্ধায় বাড়ি ফেরেন দেবাশিস। তাঁর মামা রতন সাহা মিষ্টি মুখ করিয়ে ভাগ্নেকে স্বাগত জানান

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মাকে দেখেননি। বাড়ি ফিরেই তাই সবার আগে শয্যাশায়ী মায়ের কাছে ছুটে যান দেবাশিস। মাকে প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ নেন তিনি। বাকরুদ্ধ মা রীনা মজুমদার নিস্পলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন পর্বত জয়ী ছেলের দিকে। দীর্ঘদিনরে দুশ্চিন্তা যে এবার সাময়িকভাবে দূর হল।

S Jaishankar News : আমেরিকায় পড়তে গিয়ে পেটের জ্বালায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন ভারতীয় তরুণী! বিদেশমন্ত্রীর দ্বারস্থ পরিবার
এর আগে হিমাচলের ইন্দ্রাসন ও দেওটিব্বা শৃঙ্গ করেছিল দেবাশিসদের দল। তবে ঘরে ফিরে এসে আক্ষেপ কমছে না এই পর্বতারোহী যুবকের। দেবাশিস জানিয়েছেন, তাঁদের জয়ে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিল কাশ্মীর। কিস্তওয়ার জেলাশাসক নিজে উপস্থিত হয়ে, তাঁদের সম্মান জানিয়েছেন। সেখানে নিজের এলাকায় ফিরেও তিনি যেন ব্রাত্যই থেকে গেলেন।

সাংবাদিকেদর মুখোমুখি হয়ে দেবাশিস বলেন, ‘ব্রহ্ম জয় করে ফিরে খুবই আনন্দ লাগছে। তবে আমার এই কৃতিত্বে চুঁচুড়া শহরে কোনও উচ্ছ্বাস নেই, এটা দেখে খারাপ লাগছে। তবে সোনারপুর আরোহীকে নিয়ে কলকাতার অনেকেই প্রশংসা করেছেন। প্রথমবার আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে আমাদের অভিযান সফল হয়নি। কয়েকজন শেরপা অসুস্থ হয়ে যান। পববর্তী সময়ে মনের জোরে ফের আমরা ব্রহ্ম জয় করী। প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আমাদের পাওনা। মাকে ফেলে রেখে গিয়েছিলাম। এটা আমার অনেক বড় একটা চিন্তা ছিল। তবে যোগাযোগ রাখতে পেরেছিলাম।’

Mukesh Kumar Debut : ‘তোহরা পূজাপাঠ কে ফল মিল গইল…’, চোখে জল নিয়ে মা’কে ফোন মুকেশের
দেবাশিস আরও বলেন, ‘এর জন্য সরকারি সাহায্য কিছুই পাওয়া যায়নি। যাবতীয় খরচ আমরা নিজেরাই জোগাড় করেছি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছে ও বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সাহায্য করেছেন। সরকার জানত যে সব জায়গা থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা গিয়েছি। কিন্তু সাহায্য পাইনি কোথাও। পরের লক্ষ্য এখনও স্থির হয়নি। বৈঠক করে ঠিক হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *