রীতিমতো প্রমাদ গুনছেন মৎস্যজীবীরা। কারণ এই হারে খোকা ইলিশ ধরা চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর থেকে বড় সুস্বাদু ইলিশ পাওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। আজ প্রায় সাড়ে ৩ কুইন্টাল খোকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত হল নগেন্দ্র বাজারের সামনে থেকে। আগামী দিনগুলিতে কী হতে চলেছে সেই ভেবেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন সকলে।
বর্ষার মরশুম মানেই পাতে ইলিশ পড়া যাই। বাজারের থলে হাতে, রুপোলি আঁশের মাছের খোঁজে এই সময় সকাল থেকেই ঢুঁ মারেন ক্রেতারা। কিন্তু এই বছর একহাত সমান ঝকঝকে ইলিশের বদলে ছোট আকারের খোকা ইলিশে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। বাড়তে না দিয়ে, বেআইনি ভাবে দেদার ছোট ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ডায়মন্ড হারবাের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত থেকে কাকদ্বীপের বাজার, গেলেই চারিদিকে চোখে পড়ছে খোকা ইলিশ। সরকারি নিয়ম অনুসারে, ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশ মাছ ধরা এবং বাজারে বিক্রি করা আইনত অপরাধ। সেই নিয়ে বছরভর রাজ্য সরকারের মৎস্য দফতরের তরফ থেকে ব্যাপক প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু সেই প্রচারই সার, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রীতিমতো খোকা ইলিশ ধরা এবং বিক্রি চলছে বাজারে।
মৎস্যজীবীদের একাংশের মতে, যা ধরপাকড় শুরু হয়েছে তা এই কিছুদিন আগে থেকে। কিন্তু খোকা ইলিশ ধরা ও বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ অনেকদিন আগে থেকে। অভিযোগ, বছরের পর বছর এভাবেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে খোকা ইলিশ ধরার রেওয়াজ চলছে।
একশ্রেণির ট্রলার মালিক প্রকাশ্যে এই বেআইনি কাজ করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রচার, নিষেধাজ্ঞা কোনও কিছুই তাঁদের দমাতে পারে না বলে অভিযোগ। যথারীতি এবারও বাজার ছেয়ে গিয়েছে খোকা ইলিশে। দাম তুলনামূলক কম বলে লোকজনও দেদার তা কিনছেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে খোকা ইলিশে বাজার ছেয়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য দফতর। যার নিট ফল পরপর ৩ দিন লাগাতার খোকা ইলিশ ধরা পড়া বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।