Kolkata News : মেয়ের স্মৃতিতে মা-বাবার কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র, রামমোহন লাইব্রেরিতে শনিবার উদ্বোধন – parents start a computer centre in memory of their late daughter in kolkata


এই সময়: মাত্র একুশ বছর বয়সেই দাঁড়ি পড়ে যায় তাঁর জীবনে। হোলি চাইল্ড স্কুল, বেথুন কলেজের ছাত্রী সায়ন্তনী অধিকারী ইংরেজিতে এমএ পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম সেমেস্টার দেওয়ার পরেই, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে আর পাঁচ জনের মতোই তিনি ঘরবন্দি হয়ে পড়েন করোনা অতিমারীর জেরে শুরু হওয়া লকডাউনে। কিন্তু তার পর তাঁর আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরা হয়নি। সে বছরই তাঁর মৃত্যু হয়। অকালে চলে যাওয়া মেয়ের স্মৃতিতে তাঁর মা-বাবা তৈরি করেছেন ‘সায়ন্তনী অধিকারী ফাউন্ডেশন’। যার সহায়তায় ও রামমোহন লাইব্রেরির পরিচালনায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘সায়ন্তনী অধিকারী অবৈতনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র।’ পরশু, শনিবার ওই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।

Bhabha Research Centre Job: ১২ লাখের বেতন ছেড়ে পড়াশোনায় মন! মাত্র ২৩ বছরেই ভাবা-র বিজ্ঞানী ঝাড়গ্রামের সোহম
উত্তর কলকাতায় শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান রামমোহন লাইব্রেরির অর্থ-সচিব সজল মিত্র বলেন, জানান, ফাউন্ডেশন পাঁচটি কম্পিউটার দিয়েছে। তা ছাড়া, যে শিক্ষকরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁদের বেতনের ৫০ শতাংশও ফাউন্ডেশন দেবে। বাকি বেতনের সংস্থান লাইব্রেরি করবে। লাইব্রেরির একতলায় একটি ঘরে সপ্তাহে পাঁচদিন, সোম থেকে শুক্রবার রোজ তিনটি ব্যাচে ক্লাস চলবে। ৪৫ মিনিটের ক্লাস। প্রতিটি ব্যাচে থাকছে ১০ জন ছাত্রছাত্রী।

Vidyasagar University: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই কোর্স, কারা আবেদন করতে পারবেন? জানুন খুঁটিনাটি
মূলত আর্থিক ভাবে প্রান্তিক, এমন ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুল স্তরে কম্পিউটারে সড়গড় ও দক্ষ হতে পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করবে এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তির পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে যাতে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহও বাড়ে, সে দিকে নজর দিয়েছে রামমোহন লাইব্রেরি। সজল বলেন, ‘আমাদের গ্রন্থাগারে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রায় ১০ হাজার বই রয়েছে। লাইব্রেরির এই অংশটি আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পাশের ঘরে আনছি।

Indian Ocean Gravity Hole: ভারত মহাসাগরের মাধ্যাকর্ষণ গর্তের নেপথ্যে কী রহস্য়? জানা গেল আসল কারণ
কম্পিউটার শিখতে এসে পড়ুয়াদের এই বইয়ের জগতও টানবে বলে আমাদের আশা।’ সায়ন্তনীর বাবা বিদ্যুৎবরণ অধিকারীর কথায়, ‘মেয়েটা হঠাৎ চলে গেল। পড়াশোনা, ছবি তোলা, কম্পিউটার সবেতেই সমান পারদর্শী ছিল সায়ন্তনী। ওর মা আর আমি ঠিক করলাম, মেয়ের স্মৃতিতে কিছু করা যাক। সেই জন্যই এই অবৈতনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র।’ পেশায় ব্যবসায়ী বিদ্যুৎবরণ জানালেন, এর আগে ‘সায়ন্তনী অধিকারী ফাউন্ডেশন’ হোলি চাইল্ড স্কুল ও বেথুন কলেজেও চার লক্ষ টাকা করে দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *