উত্তর কলকাতায় শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান রামমোহন লাইব্রেরির অর্থ-সচিব সজল মিত্র বলেন, জানান, ফাউন্ডেশন পাঁচটি কম্পিউটার দিয়েছে। তা ছাড়া, যে শিক্ষকরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁদের বেতনের ৫০ শতাংশও ফাউন্ডেশন দেবে। বাকি বেতনের সংস্থান লাইব্রেরি করবে। লাইব্রেরির একতলায় একটি ঘরে সপ্তাহে পাঁচদিন, সোম থেকে শুক্রবার রোজ তিনটি ব্যাচে ক্লাস চলবে। ৪৫ মিনিটের ক্লাস। প্রতিটি ব্যাচে থাকছে ১০ জন ছাত্রছাত্রী।
মূলত আর্থিক ভাবে প্রান্তিক, এমন ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুল স্তরে কম্পিউটারে সড়গড় ও দক্ষ হতে পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করবে এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তির পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে যাতে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহও বাড়ে, সে দিকে নজর দিয়েছে রামমোহন লাইব্রেরি। সজল বলেন, ‘আমাদের গ্রন্থাগারে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রায় ১০ হাজার বই রয়েছে। লাইব্রেরির এই অংশটি আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পাশের ঘরে আনছি।
কম্পিউটার শিখতে এসে পড়ুয়াদের এই বইয়ের জগতও টানবে বলে আমাদের আশা।’ সায়ন্তনীর বাবা বিদ্যুৎবরণ অধিকারীর কথায়, ‘মেয়েটা হঠাৎ চলে গেল। পড়াশোনা, ছবি তোলা, কম্পিউটার সবেতেই সমান পারদর্শী ছিল সায়ন্তনী। ওর মা আর আমি ঠিক করলাম, মেয়ের স্মৃতিতে কিছু করা যাক। সেই জন্যই এই অবৈতনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র।’ পেশায় ব্যবসায়ী বিদ্যুৎবরণ জানালেন, এর আগে ‘সায়ন্তনী অধিকারী ফাউন্ডেশন’ হোলি চাইল্ড স্কুল ও বেথুন কলেজেও চার লক্ষ টাকা করে দিয়েছে।