ফেসবুকে পঞ্চায়েত ভোট হিংসা নিয়ে কবিতা পোস্ট করে প্রহৃত শান্তিপুরের বাসিন্দা কল্লোল সরকার। ২৯ মে ফেসবুকে বিদ্রোহ নামে একটি কবিতা লিখে পোস্ট করেন। সেই কবিতার কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ২৫ জুলাই নদিয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর এলাকার নিজস্ব বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কবি কল্লোল সরকারের ওপরে আক্রমণ চালায়। কবি কল্লোল সরকার এদিন শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শান্তিপুরের বাসিন্দা কল্লোল সরকার জানান, ঠিক নির্বাচনের কিছুদিন আগেই তিনি একটি প্রতিবাদী কবিতা প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটা নিয়েই শোরগোল পড়ে যায় এমনকি তাকে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা যায়, গতকাল বিকেলে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুর গলায় দড়ি বটতলার এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী তার ওপর হামলা করে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর আহত কবিকে সেখানে ফেলেই চলে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর এলাকাবাসী আহত কবিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। শান্তিপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই কবি কল্লোল সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
৩৪ বছরের যুবক কল্লোল সরকার। তিনি শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০১৮ সালে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ থেকেই তিনি ‘বিদ্রোহ’ নামের একটি কবিতা লিখেছিলেন। কিন্তু কবিতাটি ফেসবুকে পোস্ট হতেই সমানে হুমকি পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কবি কল্লোল সরকারের দাবি, তার কবিতার মধ্য দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণেই দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। যারা তাকে মারধর করে তারা প্রত্যেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। বিষয়টি শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দায় অস্বীকার করেছে। তবে স্থানীয় বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।