তাই এবার তমলুকের সাংসদ তহবিলের টাকায় তাম্রলিপ্ত পুরসভা এলাকায় উন্নয়নের জন্য পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP-র প্রতিনিধি দল। ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনের পরে তমলুকের সাংসদ তহবিলের কোনও টাকাই উন্নয়ন খাতে ব্যবহার হয়নি তাম্রলিপ্ত পুরসভা এলাকায়, এমন অভিযোগ ওঠে বিস্তর।
তাই তমলুকের সাংসদ তহবিলের টাকা তাম্রলিপ্ত পুরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যাতে লাগে সেই কারণে তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী, BJP কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক, শবরী চক্রবর্তী সহ দশজনের একটি প্রতিনিধি দল এদিন তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে দেখা করেন। BJP-র প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়কে অনুরোধ করেন যাতে তমলুকের সংসদ তহবিলের টাকায় পুরসভা এলাকায় উন্নয়ন হয়।
তমলুকের সাংসদ তৃণমূল দলে থাকলেও তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করার পরে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী দুজনেই কার্যত তৃণমূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন। এদিকে এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যে তাম্রলিপ্ত পুরসভা এলাকায় সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়ন হয় কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।
যদিও শুক্রবার BJP-র প্রতিনিধি দল লিখিত আবেদন না করে সৌজন্যমূলক দেখা করে প্রস্তাব দেন। এই বিষয়ে তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘তমলুক শহর তৃণমূল BJP থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলের। আর এই শহরের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আজ BJP-র তরফ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাব আমরা মৌখিক ভাবেই জানিয়েছে লিখিত আকারে না করে। চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমাদের প্রস্তাব শুনেছেন ও এই নিয়ে ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন।’
পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, ‘এটি একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল। সেই সঙ্গে সাংসদ তহবিল ব্যবহার করার বিষয়ে আমাকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। এই নিয়ে আমাদের কি ভাবনা সেতাওয়ামি তাঁদের জানিয়েছি। এই নিয়ে আলাপ আলোচনা করে এগোনো হবে।’