Uttar 24 Pargana : স্কুলের পাশেই ডাঁই করা জঞ্জালের স্তূপ, ক্লাসে এসে অসুস্থ পড়ুয়ারা! বারাসতের স্কুলে চরম অব্যবস্থা – garbage is piled up next to barasat school students and teachers are facing problems


সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে শিশুদের বেড়ে ওঠা ও শিক্ষাদানের উপর যখন বাড়তি নজরদারি দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রীতিমতো স্কুল চালানো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসতের হরি মোহননাথ আদর্শ বিদ্যাপীঠ স্কুলে। স্কুলের পাশেই ফেলা রয়েছে জঞ্জাল, নোংরা আবর্জনা ময়লার স্তূপ, অভিযোগ এমনই। আর তার গন্ধেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ছাত্রছাত্রীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। দুর্বিষহ অবস্থা শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। এভাবেই চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে।

Dengue Death: রাস্তা না চৌবাচ্চা! ১২ মাস ধরে সরেনি রাস্তার জমা জল, ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরেই বাস ডানকুনিবাসীর
এদিন বাধ্য হয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ছুটি দিয়ে দেন পড়ুয়াদের। গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে শরীর খারাপ হতে থাকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। স্কুলের সামনে এভাবে নোংরা আবর্জনার কথা প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। ছাত্রদের পাশাপাশি টিচার্স রুমে বসতেও চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরও। খুদে পড়ুয়ারা জানায়, স্কুলে এসে নোংরা গন্ধে শরীর খারাপ করে, বমি বমি পায়। টিফিন খেতেও পেট গুলোয়। যদিও পুরসভার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কিছুদিন যাবত গোটা বারাসত জুড়েই ময়লা আবর্জনা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

Bankura News : ভোট মিটলেও এখনও বিদ্যালয়ে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী! শিকেয় পঠন-পাঠন
তবে ওই এলাকার নোংরা আবর্জনা স্কুলের মিড ডে মিলের ফলে জমেছে বলেও পালটা অভিযোগ জানান স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রনজিৎ দাস। তিনি বলেছেন, ‘শুধু ওই স্কুল এলাকাই নয়। শহরের আরও অনেক জায়গায় জঞ্জাল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও আমরা জানতে পেরেছি ওই স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারের বা রান্নার অংশ যেখানে সেখানে ফেলা হয়ে থাকে। সেই কারণেও আরও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে’। যদিও স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘মিড ডে মিল রান্নার পর যা কিছু কোথাও তো একটা ফেলতে হবে।

Bankura News : ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ছাদ, আতঙ্কে গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে অভিভাবকরা
এই এলাকায় পুরসভার কোনও ভ্যাট নেই যেখানে গিয়ে নোংরা জিনিস ফেলে আসা যায়। তাই আশেপাশেই ফেলতে হয়। কিন্তু পুরসভা থেকে যে সাফাই করা হবে, সেই নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই’। গোটা ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুল শিক্ষকদের সুস্থ পরিবেশে পঠন পাঠনের জন্য, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করার দাবিতে সুর চড়িয়েছেন অভিভাবকরাও। এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যায় না। অবিলম্বে এই জায়গা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করুক স্কুল কর্তৃপক্ষ’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *