চিত্তরঞ্জন দাস: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব থেকে আরও কাছাকাছি। যোগাযোগ গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। তারপর ফোনে কথাবার্তা, ছবি আদান প্রদান। এরপর বেঁকে বসল সেই প্রেমিক। চাপ নিতে না পেয়ে শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে ফেললেন গৃহবধূ। এমনটাই অভিযোগ গৃবধূর স্বামীর। বছর তিরিশের ওই গৃহবধূর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বামুনাড়ায়।
আরও পড়ুন- সত্দাদার দিকে অভিযোগের তির; মাঠের গর্ত থেকে উদ্ধার ৮ বছরের বালকের দেহ, তুলকালাম এলাকা
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনের মধ্যে আদানপ্রদান করা ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে ওই যুবক। সেই মানসিক চাপ নিতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। বামুনাড়ার যুবক অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
মৃত গৃহবধূর স্বামীর দাবি স্নেহা নামে এক তরুণীর সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল অর্ঘ্যর। সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হল ফেসবুকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। সম্প্রতি অর্ঘ্যের জীবনে ফের ফিরে আসে স্নেহা। তার পর থেকেই দুজনে মিলে আমরা স্ত্রীর সঙ্গে অর্ঘ্যর কিছু কথোপকথনও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় ওরা। সেই চাপ না নিতে পেরেই আত্মঘাতী হয়েছে সে।
শনিবার ওই গৃহবধূর দেহ ময়না তদন্তের পর বাড়ি আনা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হয় অর্ঘ্য ও স্নেহার নামে। তার পর থেকেই পলাতক ওই দুইজন। গোটা ঘটনা নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে।