এই বিষয়ে ওই নাবালিকা বলে, ‘থানায় নিয়ে যাওয়ার নামে আমাকে টোটোয় চাপিয়ে আলিপুরদুয়ার নিয়ে আসে শ্যামল দাস। আলিপুরদুয়ার পৌঁছতেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ আমার বাড়ির পাশেই কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে স্থানীয় ভাটিবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি। কিন্তু আমি সেই জায়গা চিনতাম না।
তাই শ্যামল কাকাকে বলি সেখানে নিয়ে যেতে’। এরপর আলিপুরদুয়ার চৌপতি এলাকা থেকে ফের আরেকটি টোটোতে চাপিয়ে স্কুলছাত্রীকে বীরপাড়া চৌপতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল ওই অভিযুক্ত কাকা। সেই সময় দুজনের কথা কাটাকটি শুনে ওই টোটো চালক কার্তিক বিশ্বাসের সন্দেহ জাগে।
এরপরেই টোটো চালক কার্তিক বিশ্বাসকে ত্রাতার ভূমিকায় লক্ষ্য করা যায়। এই বিষয়ে কার্তিক বিশ্বাস বলেন, ‘ওদের কথা কাটাকাটি শুনে আলিপুরদুয়ারের বাটা মোড় এলাকায় তৎক্ষণাৎ টোটো থামিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাবালিকা পাচারের সন্দেহের কথা খুলে জানাই। এরপরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পড়ে সমস্ত ঘটনা খুলে জানায় অভিযুক্ত কাকা ও ওই স্কুল ছাত্রী’। স্থানীয়দের চাপের মুখে জানা যায়, ওই নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার নাম করে কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত।
সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হতেই আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেতেই আলিপুরদুয়ার থানার IC অনিন্দ্য ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য উপস্থিত হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত কাকাকে আটক করে পুলিশ।
এই মুহূর্তে অভিযুক্ত কাকা শ্যামল দাসের ঠিকানা আলিপুরদুয়ার থানার শ্রীঘর। ঘটনায় কোনও পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এই নাবালিকাকে উদ্ধার করার বিষয়ে সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করার জন্য টোটো চালক কার্তিক বিশ্বাসের প্রশংসা করছেন সকলেই।