এদিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাসকষ্টের বিষয়টিকে ঘিরে তাঁর একসময়ের ধূমপানের অভ্যাসের প্রসঙ্গ তুলছেন কেউ কেউ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ইউপিএ ১ সরকারের আমলে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অম্বুমণি রামাদোস বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। বুদ্ধবাবুর উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ ছিল, ‘নো স্মোকিং প্লিজ’। তামাক বিরোধী প্রচার চালানোর জন্য খুবই চর্চিত ছিলেন অম্বুমণি রামাদোস। অম্বুমণি বলেছিলেন, ‘তিনি (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) একজন নেতা এবং নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে উদাহরণ হওয়া উচিত। তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তি এবং তাঁর আমার পরামর্শের (ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য) প্রয়োজন নেই।’
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে আজ অবস্থার বিশেষ অবনতি হয়। যার জেরে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে আইটিইউতে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধবাবু। হাসপাতালের ৫১৬ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর চিকিৎসার জন্য কৌশিক চক্রবর্তী ও আশিস পাত্রর নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে ৫ সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ড। চিকিৎসকদের তৎপরতায় আপাতত আগের চেয়ে সামান্য শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সামান্য বেড়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন রাজ্যপাল। বুদ্ধবাবুর অসুস্থতা প্রসঙ্গে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, গত কয়েক দিন ধরেই শরীর ভাল যাচ্ছিল না তাঁর। চিকিৎসকরা বিভিন্ন প্যারামিটার দেখেই তাঁকে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই কারণে তাঁর চিকিৎসা যেখানে হয়, সেখানেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা এদিন তাঁর বাড়িতে যান এবং তারপর ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তির পর আপাতত চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিচ্ছেন বলেই জানান রবীন দেব। তিনি বলেন, চিকিৎসা চলছে, আপাতত কোনও অসুবিধা নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন, বিপদ কেটেছে গিয়েছে।