বিগত বেশ কিছুদিন খুব একটা পর্যটকের দেখা না মিললেও শুক্রবার থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে আবার। স্বস্তির খোঁজে সমুদ্র স্নানে মেতে উঠতে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। বনগাঁ থেকে আগত পর্যটক বলেন, ‘গরম পড়লেই আগে দিঘার সমুদ্রের কথা মনে পড়ে। তাই টানা ছুটি থাকায় দিঘা এসেছি’। যাদবপুর থেকে ঘুরতে আসা দেবলীনা সেন বিশ্বাস বলেন, ‘তালসারি, তাজপুর যাওয়ার প্ল্যান আছে। তবে মাঝে প্ল্যান বদল হয়েও যেতে পারে। দেখা যাক কি হয়। এত এত মানুষ এসেছেন দেখে ভালো লাগছে’। কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘গরমের হাত থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য টানা ছুটিকে কাজে লাগাতে দিঘায় আসা।
বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। আগামি সোমবার থেকে আবার কাজের চাপ বাড়বে। তাই এই ২দিন একটু সমুদ্রের হাওয়ায় সময় কাটিয়ে যেতে চাই’। দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামায় হোটেলের ব্যবসা ভালই হয়েছে। এখন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভালোই গরম রয়েছে। বর্ষা পড়ে গেলেও গরমে জনগণের হাঁসফাঁস অবস্থা।
সেখানে সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ অনেকটা মনোরম। দিনের বেলা থেকে শুরু করে বিকেলে সমুদ্রতটে প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে। এই কারণেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের গন্তব্য সমুদ্রের তীর। আর সমুদ্র মানেই বাঙালিদের প্রথম পছন্দ দিঘা। একদিকে কাছাকাছি অন্যদিকে মনোরম পরিবেশ।
ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘায় লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে। বাইরে থেকেও মানুষজন এখানে আসছেন। আর তাই দিঘার ব্র্যান্ডভ্যালু এখন আন্তর্জাতিক। দিঘাকে নিয়ে এখন নানা পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের ভিড়।