Kalighater Kaku : মানিককে ৩২৫ জনের চাকরির সুপারিশ কাকুর, দাবি চার্জশিটে – kalighater kaku recommends 325 jobs to manik bhattacharya claimed by ed


এই সময়: গ্রেপ্তার হওয়ার ৫৯ দিনের মাথায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ৩২৫ জনের চাকরি পাইয়ে দিতে সুপারিশ করেছিলেন কাকুই। কী ভাবে এই বেআইনি কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল, তা বিস্তারিত উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মূল চার্জশিটের কপি ১২৬ পাতার হলেও তাতে ৭ হাজার ৬০০ পাতার অতিরিক্ত নথি যুক্ত করেছে ইডি।

Kalighater Kaku : সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিটের পথে ইডি
ধৃত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়ের যোগসাজশের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে যখন চার্জশিট পেশ করছে ইডি, ঠিক তখনই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়। ইডি বিশেষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তর্বতী জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি।

ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে ‘এসডি কনসালটেন্সি’ এবং ‘ওয়েলথ উইজেড’ নামের দু’টি সংস্থার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও চার্জশিটের ৭৫ নম্বর পাতায় দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফিনান্সিয়াল ম্যাটার’ দেখতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

Partha Chatterjee : বিশেষ গাড়িতে কোর্টে, পার্থর কাঁটা সেই প্রভাবশালী তত্ত্বই
মানিক ভট্টাচার্য পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন তাঁর অফিসে ঘন ঘন যাতায়াত ছিল সুজয়ের। অভিষেকের বার্তা মানিকের কাছে তিনি পৌঁছে দিতেন বলেও দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, মানিকের কাছে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ ৩২৫ জনের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছিলেন কাকু। এই মামলার তদন্তে বিএড কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরে কালীঘাটের কাকুর নাম সামনে আসে। তাপসের দাবি ছিল, সুজয়কৃষ্ণের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন ধৃত কুন্তল ঘোষ। যদিও গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তা অস্বীকার করেন সুজয়।

Kalighater Kaku: SSKM নয়, বেসরকারি হাসপাতালে করাতে চান চিকিৎসা! জামিনের আবেদন ‘কালীঘাটের কাকু’-র
বরং তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেন, ‘আমার মক্কেল কোনও রকম বেআইনি কাজে জড়িত নন।’ চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বরে সুজয়ের নিয়মিত কথা হতো। ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশও এসেছিল সুজয়ের কাছ থেকে। সেই প্রার্থীদের টেটের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি মানিককে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, কোনও রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পদে না থাকলেও কাকুর অবাধ যাতায়াত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *