কিন্তু, এবার থেকে শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলিতেও একই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। অর্থাৎ শহর কলকাতায় ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন কোনও বাড়ি বা কোনও নির্মাণ কাজের জন্য আর ডেভেলপমেন্ট ফি দিতে হবে না। ফলে অনেকটাই খরচ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় অনুমোদন পেয়েছে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি বিল ২০২৩। এই বিল প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এতদিন পর্যন্ত কলকাতার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে যে কোনও বাড়ি বা নির্মাণ কাজের জন্য ডেভেলপমেন্ট ফি ধার্য করা হত। যদিও একই নিয়ম লাগোয়া ছিল না অ্যাডেড এরিয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু, এবার সেই ভেদাভেদ দূর হল। অর্থাৎ এবার শহরের যে কোনও অংশে বাড়ি তৈরির ফি একইরকম হতে চলেছে।”
স্বাভাবিকভাবেই এই বিল পাস হওয়ার পর বেশ স্বস্তিতে শহরবাসী। এতদিন পর্যন্ত শহরের একটি অংশের সঙ্গে অপর অংশের নির্মাণকাজে অর্থের ক্ষেত্রে ভেদাভেদ ছিল। এবার তা দূর হল। ফলে যাঁরা শহরে নতুন করে কোনও নির্মাণ করতে চাইছেন বা বাড়ি তৈরি করতে চাইছেন, এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর হতে চলেছে। মোটের উপর আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা, তা বলাই বাহুল্য।
এই বিল প্রসঙ্গে কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ” এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” যদিও এর সমালোচনায় মুখর হন BJP বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং বিষ্ণুপদ শর্মা। দার্জিলিঙে বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গও এক্ষেত্রে উঠে আসে। তাঁদের দাবি, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে সাহায্য করছেন। এতে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ছে। সবুজ ধ্বংস হয়ে বেআইনিভাবে আবাসন গড়ে উঠছে।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম অবশ্য পালটা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “কয়েকজনের জন্য সমস্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে এভাবে মন্তব্য করা উচিত নয়। কাউন্সিলররা তাঁদের এলাকার জন্য সবসময় কাজ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে সকলের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়।