ভারতবর্ষে পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই দিনটি পালিত হচ্ছে। একসময় দুটি দেশ এক সঙ্গেই ছিলো। আজ দুই দেশের মাঝে কাঁটাতার পড়েছে। তবে দুই দেশের ঐতিহ্য একই। মহরম আসলে ধার্মিক অনুষ্ঠান। তাই এই ধার্মিক অনুষ্ঠানে এই দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলার সমস্ত মুসলিম ভাইরাও যেন শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও কোথাও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না তৈরি হয়, সেই বার্তাই দেওয়া হয় এদিনের মিছিল থেকে।
যদি কেউ এমন পরিকল্পনাও নেয় তাঁদের সেই পরিকল্পনা যেন তাঁরা বন্ধ করতে বাধ্য হয়, সেই দিকটা সকলের মাথায় রাখা উচিৎ বলে জানান মিছিলের আয়োজক কমিটির এক সদস্য। দুই বাংলার মানুষ যেন দিনটি শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করে, এই মিছিল থেকে এই বার্তাই দেওয়া হয়। মিছিলের আয়োজক কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আজ ইসলাম ধর্মের মানুষদের কাছে দুঃখের দিন। আজ ইসলামি মানুষদের কাছে বছরের শুরুর দিন অর্থাৎ মাসের শুরু হয় এই দিন পালনের মধ্য দিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা আজকের দিন থেকে আগামী দিনে ভালো কিছু করার সূচনা করার পরিকল্পনা নেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের থেকে যথেষ্ট ভালো সহায়তা পেয়েছি আজকের এই মিছিল বের করার জন্য’। উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই দিনটি একদিকে যেমন শোকের, অন্যদিকে অন্যায়-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার, রুখে দাঁড়ানোর দিন।
হিজরি ৬১ সনের এই দিনে ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান, ইয়াজিদ বাহিনীর চক্রান্তে কারবালায় নিষ্ঠুরভাবে খুন হন। খুন হয় তাঁর পরিবার এবং অনুগামীরাও। সেই দিনের স্মরণেই বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় মহরম। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসে পালিত হয় মহরম। মহরমের দশম দিনে শোকপালন করেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন।