এই বিষয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী হাসানুর মণ্ডল বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করার জন্য এবং মাটিহারা গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করার জন্য আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি’। তিনি আরও বলেন, ‘বহুদিন আগে থেকেই আমার তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। সেই কারণে CPIM -র থেকে জয়লাভ করে তৃণমূলে যোগদান করেছি যাতে করে মানুষের কাজ করতে পারি। মানুষের কাজ একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই করে। রাজ্যের উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই হবে। সেই কারণেই আমার এই যোগদান।
কারণ CPIM-এ থেকে আমি মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে পারব না’। এই নিয়ে তৃণমূলে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিরিখে দাঁড়িয়ে হাসানুর মণ্ডল বারংবার আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন যে তিনি এই উন্নয়নের অংশ হতে চান। আমরা দেখেছি হাসানুল ভালো ছেলে কাজ করবে।
সেই কারণেই আমরা ওকে দলে নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করার জন্যই উনি আমাদের দলে এসেছেন। যাতে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন এবং মানুষের কাজ করতে পারেন। বিরোধী দলে থাকা মানুষ বুঝতে পারছেন যে রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
আর এই ঘটনায় CPIM শুন্য হল আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই বিষয়ে বনগাঁ ব্লকের CPIM-র এরিয়া কমিটির সদস্য তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যাতে পঞ্চায়েতের দুর্নীতির কথা বিরোধীরা জানতে না পারেন সেই কারণে তৃণমূল সব পঞ্চায়েতকে ধীরে ধীরে বিরোধী শুন্য করছে। তৃণমূল নিজের দলের সদস্যদের উপরেই ভরসা করতে পারছে না বোর্ড গঠন করার ক্ষেত্রে। তাই সবাইকেই নিজেদের দিকে টানছে’।