তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ, তারপরেই মারধর করা হয় ওই কংগ্রেস কর্মী খাতুন বেওয়াকে। আজ সকাল নটা নাগাদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বেলা গড়াতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়।
মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় খাতুন বেওয়ার। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই মহিলা কংগ্রেস কর্মীর দাদা জানান, কাল রাত সাড়ে এগারোটার সময় কিছু লোকের সঙ্গে ওর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর অনেক রাতের দিকে ওর উপর হামলা হয়। ওঁর গলা টিপে ধরা হয়।
ওই কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের লোকজনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস দলের সমর্থক ছিলেন ওই মহিলা। তার উপর এরকম হামলার ঘটনায় সকলেই নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তবে কে বা কারা সঠিক এই আক্রমণ করেছে সে সম্পর্কে এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসা লেগেই রয়েছে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খবর উঠে আসছে। তবে ঘটনার পর পুলিশ কী ব্যবস্থা নেই, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
