কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে বসানো হচ্ছে সিটি স্ক্যান মেশিনও। হাসপাতালের সুপার শেখ সৌভিক আলম বলেন, ‘হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে শয্যার সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ানো হবে৷ আমরা চেষ্টা করছি ২৪ বেড বিশিষ্ট এইচডিইউ তৈরি করতে। তবে কোনও কারণে তাতে সমস্যা হলে আপাতত ১৮টি বেড করা হবে। সিটি স্ক্যান মেশিনও মাস দুইয়ের মধ্যে বসানো হবে৷ বাড়ছে ডায়ালিসিস বিভাগের বেড সংখ্যাও।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এইচডিইউ ইউনিট চালু হয় ২০১৮ সালের অগস্টে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা, অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশনের সুবিধা মেলে ওই ইউনিটে। মূলত মুমূর্ষু রোগীদের জন্যই ওই ওয়ার্ড। তবে এত দিন এই ওয়ার্ডে শয্যা ছিল মাত্র ৬টি৷ ফলে চাইলেই বহু মুমূর্ষু রোগীকে এই পরিষেবা দেওয়া যেত না।
এখন শয্যা বাড়লে আরও বেশি রোগীকে পরিষেবা দেওয়া যাবে। এইচডিইউ ইউনিটের পাশেই রয়েছে ডায়ালিসিস ইউনিট৷ ওই ইউনিটে মাত্র ৫টি শয্যা রয়েছে। রাত দুটোতেও রোগীদের সময় দেওয়া হয় ডায়ালিসিসের জন্য। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ডায়ালিসিস করেও সকলকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
এই সমস্যা কিছুটা মেটাতে আরও ৫টি শয্যা যোগ করা হবে এই বিভাগে। সম্প্রতি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য ভবনের দুই আধিকারিক এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। বিভাগগুলিতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়া হাসপাতালে ৪ তলার একটি ভবনও তৈরি হচ্ছে। ওই ভবনে ১০০টি নতুন শয্যা থাকবে। সব মিলিয়ে আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে পরিকাঠামোয় ব্যাপক বদল আসতে চলেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।