জানা গিয়েছে রবিবার বিকেলে গরু চড়িয়ে বাড়ি ফেরে ওই বালক। এরপর গরুটিকে গোয়াল ঘরে বাঁধার সময় হঠাৎই সেখানে বিস্ফোরণ হয়। আগে থেকেই গোয়াল ঘরে রাখা দু’টি বোমা মাটিতে পড়ার পর তারই মধ্যে একটি ফেটে যায়। বিস্ফোরণ গুরুতর আহত হয় ওই বালক। এদিকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। তাঁরা ওই বালককে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই বালককে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। তবে বোমাগুলি কে বা কারা ওই গোয়াল ঘরে মজুদ করেছিল তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনায় আহত এক ছাত্র
এদিকে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকার। আহত ছাত্রের নাম ইউসুফ মণ্ডল। জানা গিয়েছ, সকালে বাড়ির পাশে একটি বাগানে খেলতে খেলতে হঠাৎই বল ভেবে বোমাটিকে তুলে নেয় ইউসুফ। তারপরেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। ডান হাত ও শরীরের বেশ কিছু অংশ মারত্মক জখম হয় তার। খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের শিশুকে প্রথমে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতা আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। কে বা কারা বোমাটি এই বাগানে রাখল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ
এদিকে আবার বোমা বিস্ফোরণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকুরতলা গ্রামের ১৭৫ নম্বর বুথে। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঘটেছে বিস্ফোরণটি। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আসাদুল খান। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, এদিন বিকাল নাগাদ হঠাৎ আসাদুলের বাড়ির বারান্দায় বিকট শব্দ হয়। বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির চাল কার্যত উড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁচায় ঢোলা থানার পুলিশ। আপাতত পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছে। বাইরের কাউকে বাড়ির কাছাকাছি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই বাড়ির সবাই পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।