Trending News: ইঁদুর-গিনিপিগ নয়, মানুষের ওষুধ মলি মাছের উপর পরীক্ষা! বাঙালি গবেষকের কেরামতিতে নয়া দিশা – shrirampur professor dr mrityunjoy majumdar use molly fish as model for experiment of making human medicine good news


মানুষের ওষুধ তৈরীতে মলি মাছের উপর গবেষণা করে চমক বাঙালি গবেষকের। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া দিগন্ত খোলার সম্ভাবনা। ইঁদুর বা গিনিপিগ নয়, মলি মাছকে মডেল করে গবেষণায় সাফল্য শ্রীরামপুরের বাঙালী গবেষকের।পেটেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হল গবেষণার বিষয়। ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদারের এই কীর্তি নিয়ে আলোচনা।

শ্রীরামপুর হাউসিং এস্টেটের বাসিন্দা ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার। ছোটো থেকেই পশু-পাখীদের বিশেষ পছন্দ করেন তিনি। তাঁর বাড়িতে রয়েছে বিভিন্ন বিদেশী পাখি ও পায়রা অ্যাকোয়ারিয়াম।যেখানে চলছে নানা গবেষণা। হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্মোকলজিতে পিএইচডি করেছেন ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার। বর্তমানে চাকদায় নেতাজী সুভাষ বোস ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিতে প্রফেসার ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত তিনি। সেই কলেজেরই কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের উপর গবেষণা শুরু করেন ডঃ মজুমদার।সাড়ে ছয় বছর গবেষণার পর আসে নিদারুণ সাফল্য।চলতি বছরের ২৬ মে ইন্টেলেকচুয়ার প্রপার্টি অ্যাক্ট ইন্ডিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয় সেই বিষয়।

ISRO : আর মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা, ৯ লাখ কোটি টাকার মালিক হতে পারে ইসরো! কী ভাবে?

তবে হঠাৎ মলি মাছের উপর কেন গবেষণা?

ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার বলেন, ‘ইঁদুর হ্যামস্টার বা গিনিপিগের মডেল খুঁজে পেতে সমস্যা হয়।আর যে প্রাণীর উপর গবেষণা করা হয় সেই প্রাণীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী থাকে এক্ষেত্রে।এই সব প্রাণীর একটি মডেলে গবেষণা খুবই খরচের।মলি মাছের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই।পয়োসিলিয়া স্পিন্ফস বা মলি মাছ সহজলভ্য। ভিভি পোরাস প্রজাতীর হওয়ায় এই মাছে গবেষণা করা যায় অনায়াসে।একটি এ্যাকোয়ারিয়ামে মেল ফিমেল মলিকে মিট করানোর পর তাদের পৃথক করে রাখা হয়। ১৯ দিনের মাথায় ফিমেল মলি মাছকে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়।’ একইসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় জানিয়েছেন,’এই গবেষণা থেকে যে ওষুধ বাজারে আসবে তার দাম হবে অনেক কম। অনেক বেশি গবেষণার দিক খুলে যাবে। এতদিন যেটা দস্তুর ছিল অর্থাৎ যার উপর গবেষণা হবে তার মৃত্যু, এক্ষেত্রে সেটা হবে না।’

Dakshin Dinajpur : ‘দেশের জন্য কিছু করব…’, শিকাগোয় গবেষণার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত কুমারগঞ্জের আব্দুল

মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার বলেন, বিশ্বে এই গবেষণা প্রথম। তাকে গবেষণায় সাহায্য করেন এনএসবিআইএফ এর প্রিন্সিপল ডঃ অর্ণব সামন্ত যিনি গবেষণার স্ট্যাটিস্টিক ডিজাইন করেছেন।এছাড়া প্রজেক্টে তাঁর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন প্রদীপ রায়,সৌরভ রায়,নীলেন্দু শেখর রায় ও ঐন্দ্রিলা বৈশ্যও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *