Barasat Railway Station: অন্ধকার ঘুটঘুটে সাবওয়েতে জমে জল, মোবাইলের লাইটের ভরসায় ঝুঁকির রেললাইন পারাপার বারাসতে – barasat residents complains about that subway need to renovation as there is no light


এক কালের ঝাঁ চকচকে সাবওয়ে এখন আতঙ্কের ‘গুহা’। ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সাবওয়ে দিয়ে যাতায়াতের জন্য সামান্য বৃষ্টিতে মোবাইলের লাইটই এখন ভরসা । আর বর্ষায় জল জমে থাকছে,ফলে অধিকাংশ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সাবওয়ে হয়েছে ঠিকই কিন্ত তা ব্যবহারের উপযোগী করে রাখতে যে ন্যূনতম রক্ষণাবেক্ষণ দরকার তা হচ্ছে না বলেই দাবি, বারাসত ১২ নম্বর রেলগেট পাড়াপাড় হওয়া ভূগর্ভস্থ পথ। সেই কারণে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে হচ্ছে প্রতিদিন।

ঘটা করে সাবওয়ে হয়েছে ঠিকই কিন্তু, তা ব্যবহার করতে হলে অধিকাংশ সময়ে হাতে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে পারাপার করতে হয়। কারণ সাবওয়ে ভিতরে থাকা অধিকাংশ লাইট খারাপ হয়ে পরে আছে।শুধু তাই নয়,সাবওয়ের ভিতরে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে থাকে,আর সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এক তো অন্ধকার, তার মধ্যে নোংরা জমে থাকা জল, সেই কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই সাবওয়ে ব্যবহার করে না। এখন ১২ নম্বর রেল গেট চত্ত্বরে দেখা যায় ৮-৮০ সকলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করছে,অনেকে সাইকেল কাঁধে নিয়ে পারপার হচ্ছে। আচমকা যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।

Nadia News : জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে শ্লথ গতি , রাস্তা অবরোধে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

বারাসতবাসী চায় সরকার যেন এই সাবওয়ে রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ নজর দেয়। প্রতিনিয়ত এপারের লোকজনকে ওপারে যেতে হয়, অর্থাৎ কলোনি মোড়ের দিক থেকে বারাসত হরিতলার দিকে পায়ে হেঁটে যেতে আসতে গেলে একমাত্র মাধ্যম এই সাবওয়ে। এই সাবওয়ে ছাড়া যেতে গেল পেরোতে হবে লাইন। এছাড়া লাইন পার হয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। এই সাবওয়ের বিকল্প কিছু নেই। এখন এমন সাবওয়ের পারাপার হতে গেলে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট অবশ্যই দরকার। এরই মধ্যে কিছু মানুষ পারাপার হচ্ছে,কেউ তার সন্তানকে নিয়ে, কেউ তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে। হাতে টর্চ না থাকলে প্রমাদ গুণতে গুণতে অন্ধকার সাবওয়েতে প্রবেশ করা। সেখানে কোন বিপদ ওঁত পেতে বসে আসে তা ঠাউর করা মুশকিল।

Dakshineswar Kali Temple: ৬০ বছরও বেশি জবর দখল, দক্ষিণেশ্বরে রেলের জমি উদ্ধার অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

এমনটাও দাবি করা হচ্ছে,এই অন্ধকারময় সাবওয়ের ভিতর যদি কোম সমাজবিরোধীরা কিছু ছিনতাই করে নেয় তাহলে চিৎকার করেও কিছু করার উপায় থাকবে না। তার কারণ যাতায়াত করার মানুষের সংখ্যা খুবই কম।তাই রেল কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের কাছে সকলেরই অনুরোধ উন্নয়ন হলেই হবে না,সেটা রক্ষণাবেক্ষণ করাটা জরুরি। মানুষ যেনও সুরক্ষিত থাকে, সেই দিকটাও রেলওয়ের ভাবা উচিত।

Nadia News : রেলগেট তুলে দিতে জোরাজুরি! রাজি না হওয়ায় রেলকর্মীকে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের

এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বীকার করেন পুরো ব্যাপারটি। তিনি বলেন, বিষয়টি সত্যি। নিজে বারাসত স্টেশন মাস্টারের কাছে গণডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। DRM এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনকি সাংসদকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু, রেলের তরফ থেকে এখনও কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। রেল কথা দিয়েছিলেন, এই আন্ডারপাসটি ঠিক করে দেবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। বারাসতের সাংসদও বিষয়টি রেলকে জানিয়েছে, কিন্তু রেলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু করতে দেখা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *