শ্বেতা আয়ার কাজ করেন। গতকাল তিনি কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তাঁর মা ও দিদি। বাড়িওয়ালা কয়েকজন লোককে নিয়ে তাঁর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। গেট বন্ধ থাকায় পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। শ্বেতার দাবি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে সমস্যা ছিল।
তাই তিনি কাজে গেলে দরজা বন্ধ রাখতে বলে যান মা ও দিদিকে। দিদির ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফেরেন শ্বেতা। দেখেন বাড়িওয়ালা বাড়ি বিক্রি করবেন বলে লোক নিয়ে এসেছেন। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকায় বাড়িওয়ালা সুরজিৎ দাসকে ভাড়াটে বলেন ‘আপনি বদমাইশ লোক। আমার মা অসুস্থ আমাকে ফোন না করে আপনি কেন জোর করে বাড়িতে ঢুকলেন।’
এই কথা বলতেই বাড়ির মালিক প্রথমে গলা টিপে ধরেন, তারপর একটি মার্বেলের টুকরো দিয়ে শ্বেতার মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্ত পরতে থাকে শ্বেতার। সেই অবস্থায় চুঁচুড়া থানায় যান শ্বেতা। থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তাঁকে চিকিৎসা করাতে বললে তিনি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত ভাড়াটে শ্বেতা বলেন, ‘দিদির ফোন পেয়েই যখন আমি বাড়িতে আসি, এসে দেখি কয়েকজন লোক নিয়ে আমাদের বাড়ির মালিক জোর করে আমাদের ঘরে ঢুকে গিয়েছেন। তখন আমি প্রতিবাদ করি। আমার প্রতিবাদ করায় উনি আমার সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন। তখন আমি তাঁকে বদমাইশ বলি। সেই সময় উনি আমার গায়ে হাত তোলেন, গলা টিপে ধরেন ও মার্বেল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। আমি পুলিশকে গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেছি।’
যদিও বাড়ির মালিক সুরজিৎ দাসের পরিবারের অভিযোগ, ভাড়াটে শ্বেতা লাহিড়ীই আগে মারমুখী হয়েছিলেন। প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। এছাড়াও তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সঠিক সময়ে ভাড়া দেন না শ্বেতা। তাই তাঁদের উঠে যাওয়ার কথা বলতেই এই কাণ্ড করেছেন শ্বেতা।