এদিন নির্যাতিতা রেখা শর্মার কাছে অভিযোগ করেন, তাঁকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি বাড়ির বাইরে বের হলে নানারকম কটুক্তি করা হচ্ছে। যদিও এদিন গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, ওই মহিলা মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, সেদিন এইরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ওইদিন তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। পরে রেখা শর্মা বলেন, ‘যদি সেইদিন এইরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে কিভাবে হয়েছে, কে করেছে সেটা তদন্ত করাটা পুলিশের কাজ। একজন মহিলা এই ধরনের মিথ্যে কথা বলতে পারেন না।
সেদিন ঘটনা ঘটলে নিশ্চয়ই তার ভিডিয়ো বা ক্যামেরার ছবি থাকবে। পুলিশের উচিৎ সেটাও তদন্ত করে দেখা’। ঘটনার এতদিন পর এখনও কেন কোনও তদন্ত হয়নি এবং নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়নি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ‘এখানে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপর চাপ আছে’। পুলিশ সেই চাপ সহ্য করে কতটা সত্য উদঘাটন করতে পারবে সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ওই মহিলাকে সুরক্ষা দেওয়াটা দেওয়াটা আমার কাছে বড় বিষয়’।
এদিন রেখা শর্মা বলেন, ‘এখানে এই মহিলাকে রেশন এবং জল নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এই বিষয়টিও দেখা দরকার। এই পরিবারটির উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে’। পুলিশ সাহায্য না করলে একটা পরিবার কতটা চাপ সহ্য করতে পারবে সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রেখা শর্মা। ডিজির সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
এদিন রেখা শর্মার সঙ্গে ছিলেন BJP নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। অন্যদিকে রাজ্য মহিলা কমিশনের ভূমিকারও সমালোচনা করেন রেখা শর্মা। এদিন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে রেখা শর্মা বলেন, ‘ঘটনার দিন আপনাদের আসা উচিৎ ছিল। কিন্তু আপনারা সেই সময় না এসে দেড় মাস পর এসেছেন’।
