হলুদ এবং কমলা – কলকাতা মেট্রোর দু’টি লাইন মিলে গেল বিমানবন্দর সংলগ্ন জয় হিন্দ স্টেশনে এসে। এটি একদিকে কবি সুভাষ-বিমানবন্দর শাখা অর্থাৎ অরেঞ্জ লাইনের শেষ স্টেশন। অন্যদিকে নোয়াপাড়া-বারাসত শাখা অর্থাৎ কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের মাঝামাঝি অবস্থায় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। কলকাতা মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানাচ্ছেন, ভূগর্ভস্থ এই স্টেশনে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। ইয়েলো এবং অরেঞ্জ লাইনের জন্য দু’টি করে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম রাখা হবে জরুরি অবস্থায় কাজে লাগাতে।
এককালে কলকাতা বিমানবন্দরে প্লেন থেকে নেমে টারম্যাকে বা বাইরে যেতে চড়তে হতো সাইকেল রিকশায়। সেটা পাঁচের দশক। তার পর অনেক ভোল পাল্টেছে। পুরোনো টার্মিনাল অতীত হয়ে ঝাঁ চকচকে নতুন টার্মিনাল এসেছে। অত্যাধুনিক হ্যাঙারে প্লেন থেকে সোজা টারম্যাকে ঢোকেন যাত্রীরা। বাইরে বেরোলেই অ্যাব ক্যাব। সেই আধুনিকতায় সর্বশেষ সংযোজন এয়ারপোর্ট মেট্রো।
কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিমানবন্দর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটির মূল নির্মাণকাজ পুরোটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার বৈদ্যুতিক, বৈদ্যুতিন এবং অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজে হাত দেওয়া হবে। এই স্টেশনে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য যে ব্যবস্থা থাকবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ৮৫ মিটার দীর্ঘ এবং দু’মিটার চওড়া একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রাভেলেটর। এই ট্রাভেলেটরে চড়েই যাত্রীরা মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দরের দিকে এগোতে পারবেন।
কলকাতা মেট্রোর কর্তাদের আশা, ইয়েলো লাইন চালু হয়ে গেলে শুধু বিমানবন্দর স্টেশনেই দিনে গড়ে ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন। যাত্রীদের উদ্দেশে সংস্থার আশ্বাস, খুব দ্রুত এই লাইন চালু করার চেষ্টা চলছে।