বাঁকুড়ার কোতুলপুরে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতার এমন হুঁশিয়ারিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সরকার ও তৃণমূল দল এক করে ফেলেছে তৃণমূল নেতারা এই দাবি করে বিরোধীদের পালটা হুঁশিয়ারি এভাবে কোনও BJP কর্মীর সরকারি প্রকল্প বন্ধ হলে আদালতের মাধ্যমে সেই অধিকার আদায় করে নেবেন তাঁরা।
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের BJP-র নিরবতা ও ব্যর্থতার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সোনামুখী পুরসভার উপ পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু কিছু BJP নেতা চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে বলছেন রুপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল দেয়নি। সেটা সরকার দিচ্ছে। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আটকানোর কেউ নেই। আমি বলি সরকারটা কার? তোদের বাবার?’
এরপরই তৃণমূলের স্থানীয় কোতুলপুর ব্লক সভাপতি তরুন নন্দিগ্রামীর নাম করে সোমনাথ বলেন, ‘তরুন দা যদি মনে করেন যারা BJP-র পতাকা নিয়ে ঘুরছে তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আটকে দেব তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে না।’
এরপরই সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘মনে রাখবেন যেমন কুকুর তেমন মুগুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে মানুষের দরজায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যাচ্ছেতাই বলে বেড়াবেন সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। যারা এইরকম সব প্রকল্পের সব সুবিধা নিয়ে BJP-র পতাকা কাঁধে মানুষের দরজায় গিয়ে ভোট চেয়েছেন তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিভাবে কি হয় তার খেলা শুরু হবে।’
BJP নেতা দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘ওর কথার আর কি উত্তর দেব। সোমনাথ নিজেই একজন তোলাবাজ। আর যদি একজনও BJP নেতা কর্মীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়, তাহলে আমরা দেখে নেব। আদালতে মামলা করব।’
