২০শে জুলাই গুজরাটের আমেদাবাদ গিয়ে পৌঁছন ওই যুবক। তারপর থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর আর কোনওরকম খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই যুবকের খোঁজ না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। স্থানীয় জন প্রতিনিধি প্রণব রায় সহ ওই যুবকের এক দাদা কৌশিক মণ্ডল সহ মোট তিনজন আমেদাবাদ গিয়ে পৌঁছন।
সেখানে পৌঁছে ওই বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ওই যুবকের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি আমেদাবাদের সংশ্লিষ্ট থানায় তপোব্রত মণ্ডলের নিখোঁজের অভিযোগ করতে গেলে সেই থানাও পরিবারের সদস্যদের নিখোঁজের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় জন প্রতিনিধি সহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, একটার পর একটা থানায় তাঁদের ঘোরানো হয় কিন্তু তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না। এমনকি তাদের কাছে মোটা অর্থেরও দাবি করা হয়। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে অবশেষে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে সন্দেশখালি থানায়।
এই বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি প্রণব রায় বলেন, ‘আমরা যখন এখানে তপোব্রতর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না, তখন সোজা গুজরাট যাই, আর গিয়ে ওখানকার থানাতে যোগাযোগ করি। কিন্তু বেশ কয়েকটি থানা আমাদের ঘুরিয়ে দেয়, বলে পশ্চিমবঙ্গে নিখোঁজ ডায়েরি করতে।
এমনকি একটি থানাতে আমাদের কাছে টাকা চাওয়া হয়। আমরা সেটার প্রতিবাদ করতেই আমাদের অপমান করে বের করে দেওয়া হয়’। নিখোঁজ যুবকের বাবা সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
আমরা চাইছি পুলিশ তদন্ত করে অবিলম্বে আমার ছেলেকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক’। এই মুহূর্তে ওই গোটা পরিবার চিন্তায় রয়েছে। চাকরির দরকার নেই, ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে আসুক, এটাই চান সকলে।