স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরজুড়ে পড়া এই পোস্টারে লেখা ‘আর নয় বঞ্চনা, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে আগামী নির্বাচনে বহিরাগত প্রার্থী নয়, ভূমিপুত্র বা পুত্রীদের প্রার্থী করতে হবে।’ রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়,জনবহুল এলাকায় লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত এই পোস্টার চোখে পড়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা নাগরিকবৃন্দের নামে লাগানো ওই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বছর গড়ালেই লোকসভা ভোট। তার আগে বিতর্ক উস্কে দিতে এই ফ্লেক্স কারা লাগিয়েছে তাই নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কার অঙ্গুলি হেলনে এ জাতীয় কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকান ও পাড়ার মোড়ে মোড়ে এই নিয়ে আড্ডা চলছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হন দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে দেবশ্রী চৌধুরীকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতেই বিপক্ষরা সেসময় তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছিল। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএমের মহঃ সেলিম। তিনিও কলকাতার বাসিন্দা। সেই নিয়ে ক্ষোভ ছিল রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের একাংশের।
রায়গঞ্জের সাংসদ বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী আদতে বালুরঘাটের বাসিন্দা। তার আগের দুটি নির্বাচনে যথাক্রমে ২০০৯ দীপা দাশমুন্সি তার আগেরবার প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি কংগ্রেসের হয়ে রায়গঞ্জে জয়ী হন। প্রিয়রঞ্জন ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের ভূমিপুত্র।
আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই এই পোস্টার কে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রকারের রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। ইতিমধ্যেই একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। যদিও এই ঘটনায় বিজেপির দলীয় কোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
রায়গঞ্জ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে, সেই কারণেই এই ধরনের পোস্টার। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে জিততে পারবে না।’ অন্যদিকে প্রাক্তন বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য বলরাম চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির কোনও কোন্দল এখানে নেই। চক্রান্ত করে এই কাজ করা হয়েছে। তবে এতে কোনও লাভ হবে না।’