অন্যদিকে সেদিনই, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও সিল ও স্বাক্ষর ছাড়া সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের নামের একটি চিঠি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করতে চান। পাশাপাশি এও লেখা ছিল যে বর্তমানে সিউড়ি পুরসভা বড় আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি বারংবার বিধায়ককে জানানো হলেও বিধায়কের তরফ থেকেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু চিঠি ভাইরাল হওয়ার পর প্রসঙ্গ এড়িয়ে ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রণব কর ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। বলেছিলেন, ‘এগুলি ঘরোয়া বিষয়’।
পাশাপাশি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘কেউ কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এই ভুল চিঠি ভাইরাল করেছে। কিন্তু আজকে হঠাৎই ভাইরাল হওয়া চিঠি সেই একই কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করার পর উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি তৎকালীন চেয়ারম্যান নিজেই ভাইরাল করেছিলেন চিঠিটি?’ চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর আজ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সিউড়ি পুরসভায় বসে বোর্ড মিটিং।
স্বাভাবিকভাবেই প্রণব করের হঠাৎই এই পদত্যাগের পর নতুন কে হবেন এই পদের অধিকারী উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল সূত্রে খবর চেয়ারম্যানের এই পদত্যাগের পর নতুন চেয়ারম্যান হতে চলেছেন সিউড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান কাউন্সিলর উজ্জল চট্টোপাধ্যায় (উতু)।
যদিও উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কে চেয়ারম্যান হবে তার সিদ্ধান্ত দল নেবে। আমাদের বিগত দিনে যা সমস্যা হয়েছিল তা বসে আলোচনার মাধ্যমে মিটে গিয়েছে।’ সদ্য নির্বাচিত হওয়া এবং দলের তরফ থেকে সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া প্রণব করের আচমকা এইভাবে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্তরে অন্তর্কলহ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও প্রণব কর ইস্তফা দেওয়ার সময় এই সমস্ত বিষয় উড়িয়ে দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতা এবং পারিবারিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার আভাসও দিয়েছেন।