West Bengal Assembly : রাজ্য বিধানসভার আসন বেড়ে হতে পারে ৪২২, তৈরি হবে নয়া ভবনও – west bengal assembly total number of seats may increase till 422 and new building may be build up at new town


গোটা দেশে লোকসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মোতাবেক নব নির্মিত সংসদ ভবনে মোট ৮৮৮ জন লোকসভার সাংসদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই খবর। এমনকী এও জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে দেশের লোকসভা আসনের সংখ্যা বেড়ে হবে ৭৭২টি। আর সেই নিরিখে বিভিন্ন রাজ্যে বাড়বে বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যাও। বাদ যাবে না বাংলাও। এই রাজ্যে বর্তমানে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তবে পুনর্বিন্যাসের ফলে সেই আসন সংখ্যা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪২২টি হতে পারে। এমনকী এর জন্য তৈরি করা হতে পারে নয়া বিধানসভা ভবনও। কারণ বর্তমান বিধানসভা ভবনে একসঙ্গে এত জন বিধায়কের বসার জায়গা নেই।

জানা গিয়েছে, নয়া সংসদ ভবনে ৮৮৮ জন লোকসভার এবং ৩৮৪ জন রাজ্যসভার সাংসদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাসের পর এটাই যদি মোট সাংসদের সংখ্যা দাঁড়ায়, তাহলে সেই নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা আসন ৪২ থেকে বেড়ে হতে পারে ৬০। সেক্ষেত্রে মোট বিধানসভা আসন ২৯৪ থেকে বেড়ে হতে পারে ৪০০ থেকে ৪২২। বর্তমানে বিধানসভা ভবনে ৩০০ বিধায়কের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নয়া ভবন নির্মাণ করাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Assam New Assembly Building : ৩৫১ কোটি ব্যয়ে নিৰ্মাণ অসমের নয়া বিধানসভা ভবন, উদ্বোধনে স্পিকার ওম বিড়লা
কোথায় হবে নয়া বিধানসভা?
সূত্রের খবর, নয়া বিধানসভা ভবনটি গড়ে উঠতে পারে নিউটাউনে। নয়া বিধানসভা কমপ্লেক্সটি গড়ে তুলতে প্রায় প্রায় ৩৬ একর জমির প্রয়োজন হবে। নয়া নির্মিত ওই বিধানসভা ভবনে মূল সদন ছাড়াও থাকবে অফিস, এমএলএ হস্টেল, আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ-সহ নানা পরিকাঠামো। যেহেতু কলকাতার মধ্যে এক লপ্তে এই পরিমাণ জমি পাওয়া কার্যত অসম্ভব, তাই নিউটাউনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর এই নিয়ে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ নবান্নকে চিঠি দিতে চলেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

Government Jobs In West Bengal 2023 : কলকাতা পুলিশ-দমকল-স্বাস্থ্য সহ রাজ্যে মোট ৮৫১২ শূন্যপদে নিয়োগ, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়
বর্তমান বিধানসভা ভবনের কী হবে?
এবার প্রশ্ন হল নতুন বিধানসভা ভবন তৈরি হলে ১১ একর জমির উপর অবস্থিত বর্তমান ভবনটির কী হবে? বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে এই বিষয়ে, রাজ্যের এক পদস্থ আমলা জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। যেহেতু বিধানসভা ভবনের বয়স প্রায় ১০০ বছর, তাই এখানকার ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে মানুষের সামনে। এছাড়া প্রাচীন এই স্থাপত্যের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্যও সম্প্রতি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইআইটি খড়্গপুরকে দিয়ে এই কাজ করানোর চিন্তাভাবনা করছে পূর্তদফতর। প্রসঙ্গত, ১৯২৮ সালের ৯ জুলাই বাংলার তৎকালীন গভর্নর ফ্রান্সিস স্ট্যানলি জ্যাকসন বর্তমান বিধানসভা ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন। ২ বছর ৭ মাসের মাথায় সম্পন্ন হয় এই ভবনের নির্মাণকাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *