রণয় তিওয়ারি: এবার প্রতারণায় নাম জড়াল অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ(TMC) নুসরত জাহানের(Nusrat Jahan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এই অভিযোগ নিয়েই ইডির দ্বারস্থ হন প্রতারিত ব্যক্তিরা, তাঁদের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপি(BJP) নেতা শঙ্কু দেব পান্ডাকে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ, বেশ কয়েকজন সিনিয়র সিটিজেনকে নিয়ে আচমকা ইডির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পান্ডা।
নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে নুসরতের সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একটি ব্যাঙ্কের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী সহ বেশ কিছু চাকুরীজীবী। তাঁদের বলা হয়েছিল, তিনবছরের মধ্যে রাজারহাট হিডকোর কাছে প্রত্যেককে 3BHK করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।কিন্তু ২০২৩ সাল অর্ধেক কেটে যাওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত ফ্ল্যাট পাননি কেউই।তাই বাধ্য হয়েই ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-Santosh Roy Road: ২ মাস বন্ধ থাকবে বেহালার এই রাস্তা! ঘুরপথে যান চলাচল
শঙ্কু দেব পান্ডার অভিযোগ, গড়িয়াহাট রোডে মেসার্স ৭সেন্স ইনফাস্ট ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানির ডিরেক্টর তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।আরও অভিযোগ, ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে, প্রায় ২৪ কোটি টাকা নিয়েছে সেই সংস্থা।এমনকী সেই টাকা দিয়ে নুসরত জাহান নিজে পাম এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় যাঁরা প্রতারিত তাঁদের দাবি, রাকেশ সিং নামে আরও একজন ডিরেক্টর আছেন।তিনিই বলেছিলেন ফ্ল্যাট দেবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফ্ল্যাট মেলেনি। তাঁদের বলা হয়েছিল যে ৫০০ কাঁটা জমি কেনা হবে। বদলে কেনা হয়েছে ১৭৫ কাঁটা ছবি। ইতোমধ্যেই প্রতারিত ব্যক্তিরা গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। আলিপুর কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলাও। যেখানে যেখানে সম্ভব হয়েছে অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীরা এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু ফেরত পাননি টাকা। তাই সোমবার ইডির কাছেও বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা বলেন, ‘আলিপুর আদালত থেকে বারংবার ডেকে পাঠানো হয়েছে নুসরত জাহানকে। কিন্তু তিনি সমন পেয়েও কোর্টে যাননি। এমনকী প্রশাসনের তরফ থেকেও এই প্রতারিত ব্যক্তিদের মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে।’এই বিষয়ে জি ২৪ ঘণ্টার তরফে নুসরত জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। তাঁর ম্যানেজার জানিয়েছেন, নুসরত শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।