এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘কোন ভাইপোর পশ্চিম বাংলায় ক্ষমতা আছে, বিদেশে টাকা পাঠানোর ও রুশ বান্ধবী রাখার। রেজিস্টার্ড ভাইপো কে? তোলাবাজ ভাইপো কে? কয়লা ভাইপো কে? ভাইপো ছাড়া কে ঘন ঘন বিদেশ যায়! কার ক্ষমতা আছে ১০০ কোটি টাকা পাচারের। আপনি খুঁজতে থাকুন।’ স্পষ্টভাবে কারও নাম না করলেও বিরোধী দলনেতার ইঙ্গিতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
শুধু শুভেন্দু অধিকারী নন, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও রুশ বান্ধবী এরাজ্যের প্রভাবশালী ‘বন্ধু’কে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন,’ নাম না জানালেও এই আন্তর্জাতিক মাফিয়ার পরিচয় স্পষ্ট। ১) ঘনঘন দুবাই যাত্রা ২) কয়লা পাচার, ৩) ৭৫:২৫ অনুপাত ৪) হাওয়ালা etc ।’
দুই বিরোধী নেতার দাবিতে ব্যাপক শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা রুশ বান্ধবীর মাধ্যমে কয়লা ও গোরু কেলেঙ্কারির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে দাবি উঠেছে। সেই প্রভাবশালীর পরিচয় সামনে না আসলেও ইডি সূত্রে খবর, রুশ বান্ধবী পেশায় একজন মডেল। এখন থাকেন লন্ডনে। সেই বান্ধবীর সঙ্গে লেনদেনের নথিও মিলেছে। তাঁকে শীঘ্রই ডাকা হবে বলে সূত্রের দাবি।
অন্যদিকে, এদিনও বিধানসভা থেকে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি ফাঁসের হুংকার দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ১৫ অগাস্টের পর সব ফাঁস করবেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতে যোগ্য বৈধ প্রার্থীদের জাতি শংসাপত্র গ্রহণ না করলেও হাজারের বেশি ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে RTI করে জানতে চেয়েছিলাম, সংরক্ষিত আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছিলাম। ভুয়ো সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। আমার ধারণা, OBC-র ক্ষেত্রে যে তথ্য পেয়েছি, সেটার অধিকাংশই ভুয়ো।’