এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম রায় বলেন, ‘সরকারের একটা নির্দেশিকা হয়েছিল ২০১৯ সালে। যাঁরা চুক্তিভিক্তিক কর্মী রয়েছেন, তাঁদের একটা স্ল্যাব করে দিয়েছে সরকার। সেখানে ৮ বছর, ১০ বছর বা ১৩ বছর চাকরি করলে কত করে বেতন কাঠামো হবে তা বলা হয়। সেটা নির্দিষ্ট হওয়ার পরে প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে বেতন বৃদ্ধি হবে। তবে যে কোনও কারণেই হোক ২০১৯-এর পর থেকে সেই নির্দেশিকা কার্যকরী হয়নি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই নির্দেশিকা অনুমোদন করাই। এরপর যে ভাবে বেতন স্ল্যাব করা আছে সে ভাবে গতবছর পেতে শুরু করে। এবছর ৩ শতাংশ হারে বাড়ল।’
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ২০১৯ সালে যে নির্দেশিকা হয়েছে, তা লাগু করতে এতদিন লেগে গেল কেন? প্রসঙ্গত, গোটা উত্তরবঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল বহু আসনে জিতলেও, এখনও যথেষ্টই মজবুত গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সময় নির্দেশিকাটি লাগু করা হল কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহলে। যদিও এই প্রসঙ্গে পার্থ প্রতীম রায় বলেন, ‘ভোটের লক্ষ্য রেখে এই ধরণের কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। এটা ওঁদের প্রাপ্য, সেই প্রাপ্যটাই ওঁদের দিয়ে দেওয়া হল।’
প্রসঙ্গত, বিগত দিনে যাত্রীদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। কয়েক মাস আগে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি জয়ন্তী রুটে বাস চালু করে এনবিএসটিসি। পাশাপাসি হাতিপোতা থেকে কোচবিহার রুটেও চালু হয় নয়া বাস পরিষেবা। আগামীদিনে আরও নয়া পরিষেবা আনার পরিকল্পনা রয়েছে এই পরিবহণ সংস্থার।