Siliguri News : ৫০০ কোটি খরচে ভূগর্ভস্থ কেবল শিলিগুড়িতে – the state government plans to lay underground cables in siliguri


এই সময়, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়িকে আরও আধুনিক করতে ভূগর্ভস্থ কেবল পাতা হচ্ছে। পুজোর পরেই শিলিগুড়িতে ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে শিলিগুড়ির সমস্ত স্যাটেলাইট চ্যানেলের তারও নিয়ে যাওয়া হবে ভূগর্ভস্থ কেবল দিয়ে। ডুয়ার্স, সিকিম এবং দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের শিলিগুড়িকে নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ঘিঞ্জি, যানজটে জেরবার এবং বিদ্যুতের তার দিয়ে জড়ানো শহর।

Siliguri News : জমি দখল করছে রেল, বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে সমস্যা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শিলিগুড়ির মেয়রের
রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সেই বদনাম এ বার ঘুচবে। তেমনই বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা, ট্রান্সফর্মারে অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ চুরিও ঠেকানো যাবে। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, বিদ্যুৎ পর্ষদের বন্টন বিভাগ এবং পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। সেখানেই ঠিক হয়, পুজোর পরেই ভূগর্ভস্থ কেবল পাতার কাজে নামবে বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগ।

Solar Energy : ত্রিপুরার গ্রামে জ্বলবে সৌরশক্তির আলো, নয়া পরিকল্পনা মানিক সরকারের
বিশ্বব্যাঙ্কের বরাদ্দ প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকায় এই কাজটি কয়েকটি পর্যায়ে করা হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বিধান রোড ও স্টেশন ফিডার রোডে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল পাতার কাজ হবে। মোট পাঁচটি পর্যায়ে শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডেই ভূগর্ভস্থ কেবল পাতা হবে। মেয়র বলেন, ‘আমরা পুরসভার দায়িত্ব পেয়েই এই কাজটি হাতে নিই। রাজ্য সরকার প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে। অগস্টে দরপত্র খোলা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে। পুজোর পরে কাজ শুরু করা হবে।’

Matigara Bus Stand : শিলিগুড়ির যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ! মাটিগাড়াতে তৈরি হচ্ছে বাস টার্মিনাস
শিলিগুড়িতে অবশ্য টেলিফোনের কেবল প্রায় দুই দশক আগেই মাটির নীচে পাতা হয়েছে। তখনই ঠিক হয়, বিদ্যুতের তারও মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে সেই কাজে আর হাত পড়েনি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান মেয়র পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান পদে থাকার সময়েই মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেন। তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্য সরকার পরিকল্পনাটি মঞ্জুর করে। প্রায় কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগ সমীক্ষা করার পরে অবশেষে আর্থিক মঞ্জুরি মেলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *