পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ভরতপুরের হুমায়ুন। অন্যদিকে চলতি বিধানসভা অধিবেশনে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে মুসলিম মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলেছেন ডেবরার হুমায়ুন। দু’জনের ক্ষেত্রেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে দল। ভরতপুরের বিধায়ককে একদিকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে, অন্যদিকে প্রাক্তন IPS অফিসার ডেবরার বিধায়ককে সতর্ক করেছে দল, তৃণমূল সূত্র অন্তত তেমনটাই বলছে।
বিতর্কের মাঝে জোড়া হুমায়ুন কী এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় না কি দলের কঠোর পদক্ষেপ দেখে তাঁরাও নড়বড়ে? সেই খোঁদ নিল এই সময় ডিজিটাল। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক প্রশ্নের মুখে বলেন, ‘দু-একদিনের মধ্যেই শোকজের জবাব দেব। সুব্রত বক্সীর (তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি) সঙ্গে কথা বলেছি। উনি এখন সংসদ অধিবেশন রয়েছেন তিনি তৃণমূল ভবনে গিয়ে শোকজের উত্তর জমা দিতে বলেছেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষনেতৃত্ব’
শোকজের চিঠি পাওয়ার পর যে হুমায়ুনের গলায় ছিল ভিন্ন দল গঠনের সুর, সেই তিনি নিজের অবস্থান থেকে খানিক নরম হয়ে এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তো আমার কোনও রাগ নেই। আমি মুর্শিদাবাদের দুই নেতার বিরুদ্ধে বলেছিলাম। শাওনী সিংহ রায় ও অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে আমার মূল অভিযোগ ছিল। এঁরা দলের সংগঠনকে দুর্বল করছে। যেখানে ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ২০টি আসনে জয়ী হয়েছিল, সেখানে পঞ্চায়েতে অনেক জায়গায় ফল খারাপ হয়েছে। দলের শীর্ষনেতাদের উপর আমার কোনও ক্ষোভ নেই, আমি দলের অনুগত সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমার কৃতজ্ঞতা রয়েছে, তিনিও আমাকে স্নেহ করেন।’
অন্যদিকে বিধানসভায় মুসলিম মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে দলীয় নেতত্বের ‘চক্ষুশূল’ ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের তরফে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালের প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, ‘এমন কোনও কথার সত্যতা নেই। এসব গুজব ছাড়া আর কিছুই না’ তিনি কী এখনও নিজের অবস্থান অনড়? এই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।