রেলের তরফে আগেই শিলিগুড়িতে এই ধরনের রেল কোচ রেস্টুরেন্ট এর প্রচলন করা হয়েছিল। জনপ্রিয়তা পেয়েছিল আকাশছোঁয়া। এবার সেই স্বাদ পেতে পারবেন ডুয়ার্সের পর্যটকরা। রেলের পরিত্যক্ত কোচকে সুন্দর করে সাজিয়ে রূপ দেওয়া হচ্ছে একটি রেস্টুরেন্টের। সেখানেই দুপুরের লাঞ্চ হোক বা বিকেলের টিফিন, সেরে নিতে পারবেন নিশ্চিন্তে। হবে এক অভিভূত অভিজ্ঞতা।
রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলের পাশেই রেলের একটি কোচকে রেস্টুরেন্ট হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে রেল কোচ রেস্টুরেন্ট সাফল্য পাওয়ার পর আরও কয়েকটি পর্যটন স্থানে এই পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে ভবন চিন্তা করে রেল কর্তৃপক্ষ। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়াও প্রতি বছরই ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনের জন্য বিশাল সংখ্যক পর্যটকরা আসেন ডুয়ার্সে।
সেই সব পর্যটকদের জন্যেই তৈরি করা হয়েছে এই রেল কোচ রেস্টুরেন্ট। কালচিনি ব্লকের বক্সার জঙ্গলের গা ঘেঁষে রাজাভাতখাওয়ায় জঙ্গলের ধারে এই নতুন রেস্টুরেন্ট তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পর্যটকদের জন্য এই রেস্টুরেন্ট চালু করে দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
জঙ্গলে প্রকৃতি দর্শন এবং বনজ প্রাণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য বাংলা তো বটেই বাইরের রাজ্য থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন ডুয়ার্সের জঙ্গলে। সেখানেই এবার বাড়তি আকর্ষণ যুক্ত হতে চলেছে। তবে রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলকেই কেন বেছে নেওয়া হল এই রেল কোচ রেস্টুরেন্ট তৈরি করার জন্য?
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজাভাতখাওয়া ডুয়ার্সের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এই জায়গা থেকে একদিকে কালচিনি, আলিপুরদুয়ার আবার একদিকে যাওয়া যেতে পারে জয়ন্তী, বক্সার জঙ্গলে। আলিপুরদুয়ার জেলায় এই পর্যটন স্থানগুলোর প্রভূত চাহিদা রয়েছে পর্যটকদের কাছে। সেই কারণেই এই জায়গাটিকে এই রেষ্টুরেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হল বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেলের কোচ নিয়ে এসে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী পুজোর মরশুমের আগে যাতে এই রেস্টুরেন্ট তৈরির করার ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলে আর কী? প্রস্তুত থাকুন, সামনের ডুয়ার্স ট্রিপেই ঘুরে আসবেন এই রেল কোচ রেস্টুরেন্ট থেকে।