একাধিক প্রশ্নে বেশিরভাগ জন বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বর্তমান তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব নিজের ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন পদের স্থান করে দিচ্ছেন। এক কথায় এই অভিযোগের পরও কার্যত সেই অভিযোগেই শিলমোহর পড়ল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বয়ং বিধায়ক।
এদিন প্রণব কর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে গত তিন বছর আগে অনুব্রত চেয়ারম্যানের পদে বসিয়েছিলেন। প্রাক্তন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন। এমনকি ফিরহাদ হাকিমকে এই দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন।
জলের টাকা এসেছিল, আইএইচএসডিপি-র টাকা এসেছিল, গ্রিন সিটির টাকা এসেছিল। তখন তাঁকে সরিয়ে আমাকে বসানো হয়। কিন্তু আমি তিন বছর সততার সঙ্গে কাজ করার পরেও উজ্জ্বল বাবু কিছু কতিপয় কাউন্সিলরকে বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে তাঁদের আমার বিরুদ্ধে নিয়ে যান।
এবং দলকে একটা লিখিত অভিযোগ জানান ওই কাউন্সিলররা। তখন দলের বিধায়ক সাংসদ আমাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। কিন্তু কোনওরকম কোনও অভিযোগের প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে পায়নি’। এরপরে বিধায়কের বিরুদ্ধেও তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, ‘এর জন্য আমি মনে করি অনুব্রত যখন বীরভূমে ছিলেন তখন আমাদের বিধায়ক সাহেব সহযোগিতা করেছিলেন।
আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সহযোগিতা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি আমাদের পুরসভাকে একটা সামান্য টাকার অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছেন। আর একবার দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা লাইটের জন্য। বাকি কোনওরকম কোনও সহযোগিতা করেননি। যেমন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা আমাদের পরামর্শ দেওয়া করেননি।
এমনকি প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ের আগে আমাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল সেটাও তিনি বসেননি। আমরা নিজেরাই বোর্ড মিটিং করেছি। বিকাশ রায় চৌধুরী ফোন করে জানান যে আমাকে দল চেয়ারম্যানের পদটা ছাড়তে বলেছে। কিন্তু কেন কী কারণ আর কোনও উত্তর তিনি দেননি’।