প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো করিডরের ৩১৮ নম্বর পিয়ার তৈরির জন্য ওই এলাকায় ব্যারিকেড করা হয়। প্রায় এক মাস পর পিলারের ৮০ শতাংশ তৈরি হয়ে যাওয়ায় ১৬ মিটার ব্যারিকেড ৬ মিটার কমিয়ে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ আগে ৩১৮ নম্বর পিয়ারের শেষ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়। তারপরেই ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, শহর কলকাতার ইএম বাইপাসের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা চিংড়িহাটা। দিনভর হাজার হাজার যানবাহন ও মানুষের যাতায়াত এই জায়গায়। সেই জায়গাতেই মেট্রোর পিলারের কাজ চলায়, তৈরি করতে হয় ব্যারিকেড। অন্যদিকে কিছুদিন আগে চিংড়িহাটা মোড়ের উড়ালপুলে ফাটলও দেখা গিয়েছিল। তারপরেই তড়িঘড়ি চিংড়িহাটা মোড়ের উড়ালপুল পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এই উড়ালপুলটিকে অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের সেতু পরামর্শদাতা কমিটি। বাম আমলে তৈরি হয়েছিল এই চিংড়িহাটা উড়ালপুল। সুতরাং এর বয়সও খুব বেশি নয়। সেক্ষেত্রে এত অল্প বয়সে কেন উড়ালপুলটির এই দশা, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
পূর্বতন বাম সরকারের আমলে মেগাসিটি প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়েছিল চিংড়িহাটা মোড় থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই উড়ালপুল। এই বিষয়ে KMDA-এর একটি সূত্রের দাবি, উড়ালপুল নির্মাণের সময় কোনও ত্রুটি থাকতে পারে। উড়ালপুলটির সুপার এবং সাব স্ট্রাকচারে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে গত ২০১৯ সালে জানায় একটি কনসালট্যান্ট সংস্থা। গত জুন মাসে বাম জমানায় তৈরি এই উড়ালপুলে ফাটল নজরে আসে। তারপর ফ্লাইওভারটি পরিদর্শন করে বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং KMDA। উড়ালপুলটিতে নজরে আসা ফাটলের উপর নিয়মিত নজরদারি চালান জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ইঞ্জিনিয়ারদের। তবে ব্যস্ত এই উড়ালপুলে ফাটলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই, উদ্বেগ বাড়ে সংশ্লিষ্টমহলে। এক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কেএমডিএ কথা বলছে বলেই জানা যাচ্ছে।