কোনোদিন আধ ঘণ্টা তো কোনোদিন এক ঘণ্টা তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বারংবার রেল দফতরে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁরা এর সমাধান চেয়ে অবরোধ করেন। এর জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর শাখায় আপ এবং ডাউন প্রায় সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
বিক্ষোভ সরাতে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ রাত ১০ টাতেও চলছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ হয়েছে রেল চলাচল। অবরোধের জেরে হাওড়া কিছু ট্রেন যেমন ছাড়তে দেরি হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছে হাওড়াগামী লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন, এমনটাই জানানো হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে।
এছাড়াও রেলের তরফে বলা হয়েছে, চারটি লোকাল ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়তে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া পাঁশকুড়া লোকাল, হাওড়া মেচেদা লোকাল, হাওড়া মেদিনীপুর লোকাল এবং হাওড়া আমতা লোকাল। পুরী হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও সাঁতরাগাছি এবং রামরাজাতলা স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ডাউন লাইনে আটকে রয়েছে আরও বেশ কিছু ট্রেন।
বিক্ষোভরত এক রেলযাত্রী এই বিষয়ে বলেন, ‘কখনও আধ ঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টা দেরিতে চলছে ট্রেন। এটা নিয়ে অভিযোগ জানালেও রেল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমতা লোকাল বেশি লেট করছে। মানুষের নিজেদের কাজে বা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিন সকালে আমার অফিস ঢুকতে দেরি হয়। আর এই কারণে প্রচুর কথা শুনতে হয়। তাই আমিও আজ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি।’
যদিও দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা চলছে। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু এখন বিক্ষোভ তুলে নেওয়া সব থেকে বেশি জরুরি কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আটকে গিয়েছে। অনেক বেশি রাত হলে মানুষের বাড়ি ফিরতে অসুবিধে হয়ে যাবে।’