Love Story: ‘ও আমার’, আদালতে যুবককে নিয়ে টানাটানি দুই মহিলার, তারপর… – two wife of a man fight near ghatal court for one man


এক হাত ধরে বর্তমান স্ত্রী, অপর হাত ধরে প্রাক্তন। আদালত চত্বরে এক যুবককে নিয়ে দুই মহিলার মধ্যে চলল চরম ‘যুদ্ধ’। আর তা দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে এই চিত্রটি দেখা গিয়েছে ঘাটাল আদালতের বাইরে। আর এই ঘর ঝগড়া দেখতে রীতিমতো ভিড় পড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু, কে এই যুবক? তাঁকে নিয়ে কেন দুই মহিলা এভাবে দড়ি টানাটানিতে মাতলেন?
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রশান্ত কয়ারি। তাঁর বাড়ি চন্দ্রকোনার ছোটবালা গ্রামে। ২০১৯ সালে তাঁর বিয়ে হয় দাসপুরের খেপুত উত্তরবাড়ের মৌসুমী চক্রবর্তীর সঙ্গে। কিন্তু, সেই সময় এই বিয়ে টেকেনি। বিয়ের কয়েকমাস পরেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

Calcutta High Court : দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য শেষ হয় না, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিকে বিয়ের পর প্রশান্ত এবং মৌসুমী দুই জনেই জীবনে এগিয়ে গিয়েছিলেন। প্রশান্ত বিয়ে করেছিলেন ঘাটাল থানার হরেকৃষ্ণপুরের বনানী হড়কে এবং চলতি বছর জুন মাসে মৌসুমী বিয়ে করেন দাসপুরের সীতাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ রায়কে। কিন্তু, এরপরেই চার জনের সম্পর্ক নয়া মোড় নিতে শুরু করে।

আচমকাই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ‘টান’ অনুভব করেন মৌসুমী। এদিকে সুখী হয়নি প্রশান্তর দ্বিতীয় বিয়েও। তাঁর সঙ্গে ফের ফোনে প্রথম স্ত্রী মৌসুমীর যোগাযোগ বাড়ে বলে সূত্রের খবর।

Buddhadeb Bhattacharya Health : কেন বার বার ছুটতে হয় হাসপাতালে? কোন রোগে আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
বনানীর অভিযোগ, তিনি যে সময় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই সময় তাঁকে মারধর করেন প্রশান্ত। এরপরেই তিনি বাপের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই তাঁর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়, যার বয়স বর্তমানে সাত মাস। অন্যদিকে, মৌসুমী অর্থাৎ প্রশান্তর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামী প্রসেনজিতের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী প্রতারণা করেছিলেন। এমনকী,তাঁর প্রথম স্বামীর কাছেও চলে যান।

প্রসেনজিৎ বলেন, “ওরা দুই জনে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মৌসুমীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ভেবে কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু, ও ওর প্রথম স্বামীকে ভালোবাসে। তাই আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিই।”মঙ্গলবার সেই ডিভোর্সের জন্যই প্রশান্ত, প্রসেনজিৎ এবং মৌসুমী আদালতে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন।

Paschim Medinipur News : ‘বাড়িতে থাকতে দেয় না ছেলে’! দুই মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে নিয়ে গাছতলায় ঠাঁই বৃদ্ধার
কিন্তু, সেখানে আচমকাই এসে উপস্থিত হন প্রশান্তর বর্তমান স্ত্রী বনানী এবং তাঁর মা। তাঁরাই প্রশান্তকে টেনে আদালতের বাইরে বার করে আনেন। বনানী এবং মৌসুমীর মধ্যে প্রশান্তকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টানাটানি চলে। আদালত চত্বরে ভিড় জমান অনেকেই। বনানীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশান্তকে আটক করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *